জগন্নাথপুরে যত্রতত্র ভাবে হাওরের বাঁধ কাটা যাবে না

9

 

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় নলুয়ার হাওর সহ সকল হাওরের ফসল রক্ষায় নির্মিত বাঁধগুলো রক্ষা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ মে বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মিয়া, পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ূব খান, পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কামালী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মোখলেছুর রহমান, উপজেলা পাউবো কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান গাজী, পৌর প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামী, উপজেলা এলজিইডি অফিসের ধীরেন্দ্র সূত্রধর, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আহমদ আলী প্রমূখ।
এতে সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম বলেন, এবার বন্যা না হওয়ায় জগন্নাথপুর উপজেলার সকল হাওরের বেড়িবাঁধ অক্ষত আছে। সবাই মিলে বাঁধকে রক্ষা করতে হবে। কোন অবস্থায় যত্রতত্র ভাবে হাওরের বাঁধ কাটা যাবে না। তবে হাওরে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও মাছ সহ জীববৈচিত্র রক্ষায় হাওরপারে থাকা প্রতিটি ¯øুইচগেইট উন্মুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলের পরামর্শ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাঁধ কাটা হবে। আমরা চাই, এবার নির্মিত অধিকাংশ বাঁধ অক্ষত থাকুক। যাতে আগামী বছর অল্প কাজ করে হাওরের ফসল রক্ষা করা যায়। তিনি আরো বলেন, শুনেছি প্রতি বছর শুধু মাছ ধরার জন্য এক শ্রেণির লোক রাতের আঁধারে বাঁধ কেটে দেয়। এবার কেউ রাতের আঁধারে বাঁধ কাটলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।