গোলাপগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

11

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের গোলাপগঞ্জে মাদক মামলায় এক মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অপর সহযোগীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দÐপ্রাপ্ত আসামীকে অর্ধদÐও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৬’র বিচারক মোঃ আক্তার হোসেন এ রায় ঘোষনা করেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ সালেহ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দÐপ্রাপ্ত আসামীর নাম- গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। সে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া রূপসাইলের মৃত তছির আলী উরফে বাদশা মিয়ার পুত্র। অপর খালাসপ্রাপ্ত একই থানার ঘোষগাঁও খালপাড় বাগিচা বাড়ির ছালেক আহমদের পুত্র আশরাফ আহমদ উরফে এরাপ (২৯)। রায় ঘোষনার সময় দÐপ্রাপ্ত আসামী গিয়াস উদ্দিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে সিলেট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোলাপগঞ্জ থানার ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামস্থ গিয়াস উদ্দিনের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে ৪১ হাজার ৭শ’ টাকা দামের ৩১ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মাসুদ পারভেজ ভ‚ঁইয়া বাদি হয়ে ধৃত গিয়াস উদ্দিন ও তার সহযোগী আশরাফ আহমদ উরফে এরাপের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৯ (৩০-০৯-২০১৪)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ নভেম্বর সিলেট জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোঃ আব্দুস সেলিম দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং-১৯২) দাখিল করেন এবং ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার বিচারকার্য্য শুরু করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ সনের সংশোধনী ২০০৪ এর ১৯ (১) এর টেবিল ৩ এর (খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয় এবং একই আইনের ৭ এর (ক) ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে তাকে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদÐ ৫ হাজার টাকা জরিমানা টাকা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ডে দন্ডিত করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ও আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক কুমার দেব মামলাটি পরিচালনা করেন।