লাউয়াছড়ায় পর্যটকেরা মজেছে কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে

8

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকালে প্রাণ-প্রকৃতি খাক হয়ে থাকে। রৌদ্রতপ্ত দিন, আর কর্মব্যস্ততা মানুষকে করে তোলে ক্লান্ত। এই সময়টা ক্লান্ত পথিকের মন জুড়ায় পথে দাঁড়িয়ে থাকা রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। হাওড়, পাহাড় আর চা অধ্যুষিত জেলা মৌলভীবাজার। জেলার পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সড়কের দুই পাশে সারি সারি চা-বাগান। বাগানের মাঝ দিয়ে চলে গেছে আঁকা-বাঁকা পিচঢালা পথ। আর এই পথের দুপাশে একের পর এক কৃষ্ণচ‚ড়া মেলে ধরেছে তার রক্তলাল শরীর। ছায়া আর রূপে মন কাড়ছে পর্যটক ও পথিকের। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় চলাচলকারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছেন। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকছেন কৃষ্ণচ‚ড়ার দিকে। তাদের চোখে-মুখে ক্লান্তি যেন মূহুর্তেই মুছে যাচ্ছে। কেউ কেউ ছবি তুলছেন।
দেশিয় চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, ফিনলে কোম্পানির পক্ষ থেকে সড়কের দুই পাশে কৃষ্ণচ‚ড়ার গাছগুলো লাগানো হয়েছে। মূলত চা গাছের “শেড টি” হিসেবে কাজ করে গাছগুলো। গ্রীষ্মকালে যখন গাছগুলো রক্তিম লাল ফুলে ভরা উঠে তখন এক মনজুড়ানো দৃশ্য তৈরি হয়। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এই সৌন্দর্য আকর্ষণ করছে।
জানা গেছে, কৃষ্ণচ‚ড়ার ফুল উজ্জ্বল লাল ও হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। পাপড়িগুলো প্রায় আট সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচ‚ড়ার পাতা সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং প্রতিটি পাতা ২০ থেকে ৪০টি উপপত্রবিশিষ্ট। কৃষ্ণচ‚ড়ার আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকা। লাউয়াছড়া সড়কে চা বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, “প্রতিদিন শত শত পথচারী ও পর্যটক ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এখানে। অনেকে প্রচÐ দাবদাহে সময় কাটাতে আসেন। প্রতিবছরই কৃষ্ণচ‚ড়ার সময়ে মানুষের সমাগম বাড়ে।”
ঢাকা থেকে বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন ও রায়হান আহমদ এসেছেন লাউয়াছড়ায়। তারা বলেন, “চা বাগান দেখতে এসেছিলাম শ্রীমঙ্গলে। কিন্তু সড়কের পাশে চা গাছের মধ্যে এত সুন্দর সারি সারি কৃষ্ণচ‚ড়া ফুলের গাছ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। খুবই ভালো লেগেছে।”