স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্র মামলায় দুই জনের ১০ বছর এবং অপর একজনকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মোঃ আক্তার হোসেন এ রায় প্রদান করেন। গতকাল ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ সালেহ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, কোম্পানীগঞ্জ থানার তেলিখাল ইউনিয়নের ডাকাতী বাড়ীর (বড় বাড়ী) মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে তোতা মিয়া (৩০) ও একই এলাকার মৃত জফির মিয়ার ছেলে মোঃ তোতা মিয়া তোতাই (৩৫) এবং ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী কোম্পানীগঞ্জ থানার বিলাজুর গ্রামের মৃত মাওলা মিয়ার ছেলে কাজী আব্দুল অদুদ (ওয়াদুদ) আলফু মিয়া (৪৪)। রায় ঘোষনার সময় সকল আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর দুপুর ১ টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতীবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তোতা মিয়া ও মোঃ তোতা মিয়া তোতাইকে গ্রেফতার করে। এ সময় মোঃ তোতা মিয়ার ঘরের টিনের চালার নীচে বাঁশের মাচায় কাজী আব্দুল অদুদ (ওয়াদুদ) আলফু মিয়ার রেখে যাওয়া ঘটনাস্থান থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১২ বোর এর ২১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার ও জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ রাশেদুল আলম খাঁন বাদি হয়ে তোতা মিয়া ও মোঃ তোতা মিয়া তোতাই এবং কাজী আব্দুল অদুদ (ওয়াদুদ) আলফু মিয়াকে আসামী করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং-২৫ (২৫-১০-২০১৪)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৬ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মিয়া নাসির উদ্দিন আহম্মদ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং- ২২১) দাখিল করেন এবং ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর আদালত ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত আসামী তোতা মিয়া ও মোঃ তোতা মিয়া তোতাইকে ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯ (ধ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আসামী কাজী আব্দুল অদুদ (ওয়াদুদ) আলফু মিয়াকে উক্ত আইনের ২১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ও আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ হাসান মামলাটি পরিচলানা করেন।