জুড়ী প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা চা বাগানে (ফুলতলা ও এলবিনটিলা ডিভিশন) বসবাস করেন প্রায় ২ হাজার চা-শ্রমিক পরিবার। এই বাগানের কারখানা ও বাগান সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) আওতায় বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। সেখান থেকে চা-শ্রমিক পরিবারগুলোর কিছু পরিবারের বসত ঘরে গোপনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো মিটার নেই। অনুমান করে শ্রমিকেরা বিল দেন চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে। এরপরও বিদ্যুৎ ভোগান্তি রয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই তারা বিদ্যুৎ পান না। আবার পেলেও লো-ভোল্টেজ সমস্যায় বাতি নিভু নিভু জ্বলে। তবে এবার চা-শ্রমিক পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের বিদ্যুতের দুঃখ ঘুচবে। এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ওই বাগানে গেলে চা-শ্রমিকেরা তাদের কষ্টের কথা তাকে (জাকিরকে) জানান। রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে তাদের এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ফুলতলা চা-বাগানের বাংলোয় জাকির হোসাইনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কুলাউড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমদ, সহকারী প্রকৌশলী পিয়াল দাস, জুড়ী অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী আনসার আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহŸায়ক কাঞ্চন চক্রবর্তী, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, ফুলতলা চা বাগানের উপ ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক) এএসএম তৌহিদুল ইসলাম, ফুলতলা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রবি বুনার্জি, সাধারণ সম্পাদক দীপ নারায়ণ গোয়ালা, সাবেক সদস্য কাজল বাউরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকরা জানান, ফুলতলা চা বাগানের (কারখানার) বিদ্যুৎ লাইন থেকে কোন মিটার ছাড়াই শ্রমিকদের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ আছে কিন্তু ভোল্টেজ নেই। তাছাড়া আবাসিকে বাণিজ্যিকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ এবং নিজস্ব লাইনে ও মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য শ্রমিকদের দাবি দীর্ঘ দিনের। শ্রমিকদের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বাগান ব্যবস্থাপক ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বাগানবাসীর আহŸানে সাড়া দিয়ে এস এম জাকির হোসাইন এ সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেন।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কুলাউড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমদ বলেন, ‘চা শ্রমিকদের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্রæত প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হবে।’