বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসাপতালে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ সিলেট শাখার উদ্যোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে র্যালী বের করা হয়। র্যলীতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসাপতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ মাহবুবুর রহমান ভ‚ইয়া, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষার্থী, রোগী-অভিভাবক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। র্যালী শেষে কলেজ অডিটরিয়ামে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ সিলেট শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সোসাইটির আহবায়ক ও সমুজ আলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহিত মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নবেন্দু চৌধুরী, রেজিষ্ট্রার ডাঃ নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, বøাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের ডাঃ মুসা এম এ কাইয়ুম সহ আন্যন্যা বিভাগের চিকিৎকগন। হিমোফিলিয়া সোসাইটি সিলেটের কার্যকরি কমিটির সদস্য ইসমাইল আলীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সোসাইটির যুগ্ম আহবায়ক আতিক মিয়া, সদস্য শাহেদ মিয়া, আতিক মিয়া, আহমদ আল আরিফ সিফাত, সহ বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে আগত হিমোফিলিয়া রোগী-অভিভাবকবৃন্দ।
হিমোফিলিয়া একটি রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত রোগ, যা বংশানুক্রমে ছেলেদের হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে শরীরের কোনো জায়গায় আঘাত পেলে বা সামান্য কেটে গেলে ওই স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে, যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
১৭ এপ্রিল বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। হিমোফিলিয়া একটি বংশানুক্রমিক রক্তক্ষরণজনিত রোগ। রক্তে জমাট বাঁধার উপাদান বা ফ্যাক্টর জন্মগতভাবে কম থাকার কারণে হিমোফিলিয়া রোগটি হয়ে থাকে। হিমোফিলিয়া হলে রোগীর অনেক বেশি রক্তপাত হয়। সময়ে সময়ে নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত বের হওয়া, দাঁতের অপারেশনের পর প্রচুর রক্তপাত হওয়া এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া এসবই হিমোফিলিয়া রোগের লক্ষণ। বিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই ধরনের হিমোফিলিয়া শনাক্ত হয়েছে। হিমোফিলিয়া-এ এবং হিমোফিলিয়া-বি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ফ্যাক্টর-৮ এর অভাবে হিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯ এর অভাবে হিমোফিলিয়া-বি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ রোগটি সাধারণত পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে। তবে নারীরা এই রোগের বাহক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাণী ভিক্টোরিয়া হিমোফিলিয়ার বাহক ছিলেন। পরবর্তীতে তার বংশের অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই এ রোগকে রাজকীয় রোগ বলা হয়। চিকিৎসকদের ধারণা, বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। আর বিশ্বব্যাপী প্রায় চার লাখ মানুষ হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত। বিজ্ঞপ্তি