তামাকজনিত রোগে বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যা উন্নয়নশীল যেকোনো দেশে তামাকজনিত গড় মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগীয় পরিচালক জাকারিয়া ও অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন। মূল উপস্থাপনায় ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান ও মূখ্য আলোচক তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কন্সালটেন্ট ডা. ফাহিমুল ইসলাম।
সেমিনারে বলা হয়, তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নানা উদ্যোগ থাকা সত্তে¡ও টোবাকো কোম্পানীগুলোর উৎপাদন বেড়েছে ৫ গুণ, অথচ তাদের কাছ থেকে কর আদায় হচ্ছে মাত্র দিগুণ। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে তারা কর ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। বছরে যার পরিমাণ ৭ হাজার ২শ কোটি টাকা। তামাক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠনসহ নানান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ধূমপানের ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ বিভাগের পরেই সিলেট বিভাগের অবস্থান। এখানে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭৪.৪ শতাংশ।
বিভাগীয় কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিলেটের হাওর অঞ্চলের পাশাপাশি পাহাড় টিলা এলাকায় শিক্ষায় অনগ্রসরতাসহ নানা কারণে তামাকের ব্যবহার বেশি। এ প্রবণতা রোধকল্পে জেলা উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম জোরদার করা দরকার।
অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফখরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আহমদ, বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন ও সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি