যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত : মহান স্বাধীনতা বাঙালির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন

14

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এ ছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো সিলেটের সর্ববৃহৎ বধ্যভ‚মি সালুটিকর শহীদ স্মৃতি উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
গত রবিবার রাতের প্রথম প্রহর (১২টা ১মিনিট) থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শুরু হয়। সর্বপ্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড শাখার নেতৃবৃন্দ। এরপর একে একে সিলেট সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়, সিলেট মহানগর পুলিশ, সিলেট জেলা প্রশাসন, সিলেট জেলা পরিষদ, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সিলেট জেলা বিএনপিসহ, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ঢল নামে জনতার।
রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিেেসব উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান।
এ ছাড়া সকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ হয়। এতে অংশ নিয়ে শিশু কিশোররা নানা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এবারই প্রথমবারের মতো সিলেটের সর্ববৃহৎ বধ্যভ‚মি সালুটিকর শহীদ স্মৃতি উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পর গণহত্যার শিকার শহীদদের কবর সনাক্ত করে নাম ফলক স্থাপনের মাধ্যমে শহীদ স্মৃতি উদ্যানের উদ্বোধন করা হয় চলতি মাসে। মহান স্বাধীনতা দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগ:
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার ফলশ্রæতিতে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গর্ববোধ করতে পারি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সেই স্বাদকে নতসাৎ করার জন্য এখনো রাজাকার, আলবদর ও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। কোনো ভাবেই বাঙালির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন-মহান স্বাধীনতাকে নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। সুতরাং সর্বশক্তি দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নবপ্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পরিশেষে তিনি, পবিত্র মাহে রমজানে সবাই উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।
রবিবার সকাল ৬ টায় চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে দুপুর ১২ টায় তালতলাস্থ গুলশান হোটেলের হলরুমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বেই আমরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছি। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতার অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, সিলেটের লালমাটিয়া, আদিত্যপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় রক্ষিত রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। রাজাকারদের বংশধরদের আওয়ামী লীগে স্থান দেওয়া যাবে না। ভিন্ন দল ও মতের এবং আদর্শের অনুসারীরা দলে ঢুকে দলকে নষ্ট করতে ওতপেতে থাকে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগে কোনো অপরাধীর স্থান হবে না। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীর বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: সানাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, ৪ ও ১২ ওয়ার্ডের সভাপতি ফয়েজ খান পিয়ারা ও সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারী, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার ছোবহানী ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, এম.এ খান শাহীন, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, ফকরুল ইসলাম আলকাছ, মইনুল ইসলাম মঈন, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেমিম, আনোয়ার হোসেন আনার।
আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রায়নগর বায়তুল বরাত জামে মসজিদের ইমাম মওলানা আবিদ হাসান রাহমানি। দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের নিহত সকল সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু কামনাসহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।
সিলেট জেলা পরিষদ:
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেছেন, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আমাদেরকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সব অবদান নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। জেলা পরিষদ সিলেট আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।।
২৬ শে মার্চ দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন, সিলেট সদর উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইর্শাদ আলী। সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স›দ্বীপ কুমার সিংহ-এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান (১) মতিউর রহমান মতি, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান (২) মস্তাক আহমদ পলাশ, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান (২) আমাতুজ জাহুরা রওশন জেবিন, জেলা পরিষদের সদস্য সুষমা সুলতানা রুহি, সদস্য মোছাদ্দিক আহমদ, সদস্য নাসির উদ্দিন, সদস্য মোঃ আব্দুল হামিদ, সদস্য ইফজাল আহমদ চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা শাহ আলম, গীতা পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিবেকানন্দ সমাজপতি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিলেট জেলা পরিষদের সিএ এ কে এম কামারুজ্জামান মাসুম। পরে ২৫শে শে মার্চ কালো রাত্রিতে সারা দেশে নিহতদের স্মরণে ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করেন হাফিজ মাওলানা শাহ আলম।
সভাপতি বক্তব্যে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির গর্ব। মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আজকের এই স্বাধীনতা লাল সবুজের পতাকা, এজন্যে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। জঙ্গীদের দমনে শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কারনে দেশ এখন জঙ্গীমুক্ত হয়েছে।
তিনি সিলেটের উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পেয়েছি, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ রেনে উন্নীত হচ্ছে। আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে ২০৪১ এর আগে আমরা আমাদের লক্ষ্য উন্নতবিশে^ পদার্পন করতে পারব। সিলেট জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রমজানের পরেই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
সিলেট জেলা বিএনপি:
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ সেই ভয়াবহ কালরাতে পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নিরিহ জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়ে বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছিল, ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তির দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখলে নিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তৎক্ষালিক মেজর জিয়াউর রহমান। তার ঘোষনার পর সামরিক বাহিনীতে কর্মরত মুক্তিকামী বাংলাদেশী অফিসার, সৈনিক, দেশের কৃষক, শ্রমিক, জনতা সহ সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। এক সাগর রক্ত আর বহু ত্যাগের ফলে দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির সূর্য সন্তানরা বুকের তারা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে একটি মানচিত্র ও লালসবুজের পতাকা এনেছিলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও শহীদদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। বরং বর্তমান সরকারের ঝুলুম, নির্যাতন ও নীপিড়ন কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানী বর্বরতাকেও হার মানাচ্ছে।
রোববার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সমবেত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার চেতনা জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা আকড়ে বসে আছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মুুক্তিযুদ্ধ একটি সূত্রে গাঁথা। মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়েও মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই, মানবাধিকার নেই। তাই প্রয়োজনে ১৯৭১ সালের মত আবারো দেশবাসীকে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, নজমুল হোসেন পুতুল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মুশিকুর রহমান মুহি, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, এডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাকিল মোর্শেদ, রেজাউল করিম নাচন, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, রুহেল আহমদ (চেয়ারম্যান), শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খান, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, শামসুর রহমান শামীম, আফতাব উদ্দিন, এডভোকেট নজরুল ইসলাম। উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য- নুরুল আমিন দুলু, ফরিদ উদ্দিন, ডাঃ এনামুল হক, আম্বিয়া চৌধুরী, পাখি মেম্বার। যুবদল নেতা আখতার আহমদ, জিএম বাপ্পী, এখলাছুর রহমান মুন্না, আমিনুল ইসলাম, এসএম পলাশ, মিজানুর রহমান, আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন রাজু, রানা আহমদ। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈয়দ সারোয়ার রেজা, জাহাঙ্গীর মিয়া, হাসান হাফিজুর টিটু, রায়হানুল হক। ছাত্রদল নেতা মাশরুর রাসেল, আফজাল হোসেন, আব্দুস সালম, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, জুয়েল আহমদ, মিজানুর রহমান মিজান, আজমল হোসেন অপু প্রমুখ।