সিলেটে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাড়ছে প্রাণহানি : মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা বেশী

35

সিন্টু রঞ্জন চন্দ

ওভারম্পিড, ওভারলোড, ওভারটেকিং, ওভার কনফিডেন্স, অসচেতনতা, মোবাইলফোনে কথা বলে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক ও সড়ক আইন না মানায় সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বিভাগটির কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরছে তাজাপ্রাণ। আর এসবের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে সিলেট বিভাগে। আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন অনেকেই। গত জানুয়ারী, ফেব্রæয়ারী ও মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আড়াই মাসে সিলেট জেলায় ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৬ জন। আহত হয়েছেন ১৩ জন। গতকাল রবিবার এমন তথ্য জানিয়েছে সিলেট বিআরটিএ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, সিলেট বিভাগে গত ফেব্রæয়ারিতে ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মোটরসাইকেল। গেল ফেব্রæয়ারি মাসে সারা দেশে ৩০৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০৩ জন মানুষ।
সড়ক দুর্ঘটনায় কোন বিভাগে কতজন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন, সেই তথ্যও তুলে ধরা হয় বিআরটিএর প্রতিবেদনে। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা বেশি, মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি। এ বিভাগে ৮৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৮ জন নিহত এবং ৭২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬ জন নিহত এবং ১৩৮ জন আহত হন। রাজশাহী বিভাগে ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত, খুলনা বিভাগে ৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত, বরিশাল বিভাগে ১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হন, সিলেট বিভাগে ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হন, রংপুর বিভাগে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হন। কোন ধরনের যানবাহনের কতটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেই তথ্যই তুলে ধরা হয়। ফেব্রæয়ারি মাসে মোট ৪৫৫টি যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এর মধ্যে প্রাইভেট কার ২০টি, বাস ৭৪টি, পিকআপ ১৭টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ২০টি, ট্রাক ৮৩টি, মোটরসাইকেল ১০২টি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ১৫টি, ইজিবাইক ১৮টি, ট্রাক্টর ১২টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, ভ্যান ১০টি, মাইক্রোবাস ৭টি ও অন্যান্য যান ৭৫টি। এ তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মোটরসাইকেল। গত জানুয়ারি মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩২২। আর এসব দুর্ঘটনায় ৩৩৩ জনের প্রাণহানি এবং ৩৩৬ জন আহত হয়েছিলেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সিলামের মোটর সাইকেল চালক আবু তাহের (৩০) সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ট্রাফিক আইন না মানা, গাড়ী চলাচলের সময় মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলা, ডান-বাম না দেখে গাড়ী চালানো, চালক ও আরোহী হেলমেট পরিধান না করায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা বেশী হয়ে থাকে।
পথচারী ইলিয়াছ-উর-রহমান জানান, ওভারস্পিডে রাস্তায় মোটর সাইকেল চালানোর কারণে সড়কে বেশী দুর্ঘটনার শিকার হন মোটর সাইকেল চালকরা। সড়কে তারা যখন মোটরসাইকেল চালায় তখন তারা মনে করে মোটর সাইকেল চালাচ্ছি আকাশে, সড়কে নয়। ফলে সড়কে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা বেশী হয়ে থাকে।
টুকেরবাজারের বাসিন্দা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের সিএনজি চালক ইমন আলী ও হোসাইন আহমদ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তেমন একটা ধারনা নেই বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
হাইওয়ে সড়কে ২১ বছর ধরে হবিগঞ্জ এক্্রপ্রেস গাড়ী চালিয়ে আসছেন ইকবাল আহমদ (৪১)। তিনি বলেন, হাইওয়ে সড়কে সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট-ছোট যান চলাচল, সড়কের উপরে কালভার্ট ও ব্রীজ থাকা মাটি ডেবে যাওয়া, সড়কে রোদ-বৃষ্টিতে বিটামিন পিচ্ছিল হওয়া, অনেক সময় মোবাইলফোনে ভিডিও কলে আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথাবার্তা বলায় সড়কে দুর্ঘটনা হচ্ছে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (১৩৫৬) কার্ডধারী ও বৈধ লাইসেন্সধারী এবং দক্ষ ড্রাইভার দিয়ে হবিগঞ্জী গাড়ী চালানো হয়। ফলে এখন আমাদের হবিগঞ্জী সড়কে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে এসেছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য কি করতে হবে এমন প্রশ্ন করলে ইকবাল আহমদ বলেন, মহাসড়ককে ৪ থেকে ৬ লেনে উন্নত করা হলে সড়কে দুর্ঘটনা পুরোটায় কমে আসবে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার জন্য ৬ লেনের রাস্তা সরকার করে দিয়েছে। এ রকম সড়ক যদি সিলেট বিভাগে নির্মাণ করা যায় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা একদম কমে আসবে। বিশেষ করে সিলেটের গোয়ালাবাজার, তাজপুর, রশিদপুর, লালাবাজার, দয়ামীরবাজার এমনকি হাইওয়ে সড়কের পাশের প্রতিটি বাজারে ওভার ব্রীজ না থাকার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। এসব স্পটে জরুরী হয়ে পড়েছে ওভারব্রীজ।
হাইওয়ে সড়কের শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সেক্রেটারী মো: হারুনুর রশীদ (৪২) জানান, দ্রæতগতির গাড়ি হাইওয়ে রোডে চালানোর সময় ছোট-ছোট গাড়ী চলাচলের কারনে সড়ক দুর্ঘটনা হয়।
১৯৯১ থেকে হবিগঞ্জ রোডে গাড়ি চালাচ্ছেন হবিগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-১৩৫৬) এর সহ সাধারণ সম্পাদক মো: দিয়ারিছ মিয়া। তিনি বলেন, সরকারকে হাইওয়ে সড়কে ধীরগতি গাড়ি চলাচল এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতিত ইঞ্জিনচালিত কোন যানবাহন হাইওয়ে রোডে চলাচল, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং ও ওভারস্পিড বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন- বিদেশী সড়কের মতো সড়কে সিসি ক্যামেরা বসালে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া মহাসড়কে ফিটনেন্সবিহীন গাড়ী বন্ধ করতে হবে। এসব গাড়ি প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটায়। হাইওয়ে রোডে দুরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ড্রাইভারদের জন্য সরকার বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও মহাসড়কে মাদক সেবন করে কোন চালক গাড়ি চালালে তাকে জরিমানার আওতায় আনতে হবে, প্রতি সপ্তাহের ৩দিন মহাসড়কের গাড়ি চেক করার কথা থাকলেও সেটি চেক করা হচ্ছে না। এতে কোন অবৈধ চালককে পেলে পুলিশ তার লাইসেন্স পয়েন্ট কেটে দিলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা রোধ হয়ে আসবে।
আগামী প্রজন্মের জন্য সড়ক নিরাপদ হওয়ার জন্য কি কি করণীয় হতে পারে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যেসব বাজারের উপর দিয়ে হাইওয়ে সড়ক যাবে উক্ত বাজারে জনসাধারণ ও এ সড়কে কোন গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে রোডটি উচুস্থানে রাখতে হবে। তবেই সড়ক দুর্ঘটনা হবে না।
মোটর সাইকেল হাইওয়ে রোডে চলাচল সম্পর্কে তিনি বলেন, সড়কে সম্প্রতি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এসব ফিটনেন্সবিহীন মোটর সাইকেল ও লাইসেন্স না থাকার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেশী হচ্ছে। এটা কমিয়ে আনতে কোন ব্যক্তি যদি মোটর সাইকেল ক্রয় করে তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্টেশন ছাড়া শো-রুম থেকে গাড়ি ডেলিভারী না করতে পারে সে বিষয়ে সরকার আইন চালু করে তাহলে সড়কে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা হবে না।
এনা পরিবহনের গাড়ী চালক তাজুল ইসলাম তারুন (৪৫) ২২ বছর ধরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, সিলেট হাইওয়ে সড়কে বেশী মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। মোটর সাইকেল চালকরা ডান-বাম না দেখে গাড়ি চালায় বলেই সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হচ্ছে। তিনি বলেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত ধীরগতির গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
মহাসড়কে কি করলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং বি-১৪১৮) এর সদস্য ও সিলেট-সুনামগঞ্জ-চট্টগ্রাম এর গাড়ি চালক মো: সেলিম মিয়া বলেন, দিনে মহাসড়কে গাড়ী চালানো যাবে না। এসময় গাড়ি চালানো অসম্ভব। তিনি বলেন, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। আগে হাইওয়ে রোডে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালানোর পর সড়কে দুর্ঘটনা কমে এসেছিলো। এখন আর এসব অভিযান চোখে পড়ছে না।
সিলেট টু ঢাকার বাস চালক নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, রাস্তার স্পিডব্রেকার, সাইনবোর্ড, সাদা চিহৃ, রাস্তা পারাপারে জেব্রাক্রসিং না থাকায় সড়কে দুর্ঘটনা হচ্ছে। তিনি বলেন, গোয়ালাবাজার, তাজপুর সড়কের উপর বাজার থাকায় সেখানে অভারব্রীজ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। তিনি আরো বলেন, প্রজন্মের জন্য সিলেটের মহাসড়কটি ৬ লেন হওয়া প্রয়োজন।
এমপি পরিবহন (কোম্পানীগঞ্জ থেকে ঢাকা) চালক মো: কুদ্দুস আলী ও সিলেট টু নোয়াখালী সড়কের চালক মো: জিতু মিয়া জানান, হাইওয়ে রোডের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ বেলিপুরস্থ রেলওয়ে গেইটে প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর একটি ফ্যাক্টরী রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় ফ্যাক্টরী ছুটি হলে হাজার হাজার শ্রমিক সড়কে ছুটে চলার সময় প্রায় দিন সেখানে সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে এবং ওই স্থানে রাত ৮টা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। সেখানে অভারব্রীজ দেওয়া হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে বলে জানান তিনি।
সিলেট বিআরটিএ সূত্র জানায়, সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কারণ থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ২০টি কারণ হিসেবে চিহিৃত এবং সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিকার হিসেবে ১৭টি কারণ চিহিৃত করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ।
সড়ক দুর্ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ হচ্ছে- ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওভারটেক করা, সাধারণ মানুষ ও চালকদের সচেতনতার অভাব, বেপোরয়া বা মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না মানা, রো/লেন নির্মাণ না করা, হাইওয়ে সড়কে ছোট-ছোট ( থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত যাববাহন) ধীর গতির যান এবং অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, হাইওয়ের র্টানিং পয়েন্টে রোড-ডিভাইডার নির্মাণ এবং পর্যাপ্ত ট্রাফিক সাইন-সিগন্যাল স্থাপন করা, মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীকে হেলমেট পরিধান এবং গাড়ি চালকদের সিট বেল্ট ব্যবহার করা, মোবাইলফোনে কথা বলে গাড়ী চালানো, মোবাইলফোনে কথা বলে রাস্তা পারাপার, নেশা জাতীয় কোন কিছু সেবন করে গাড়ি চালানো হতে বিরত থাকাসহ মহাসড়কের আশপাশে যত্রতত্র পার্কিং ও হাট-বাজার বসানো যাবে না।
এ ব্যাপারে সরাসরি সিলেট বিআরটিএ (সিলেট সার্কেল) সহরকারী পরিচালক (ইঞ্জি) প্রকৌশলী মো: রিয়াজুল ইসলাম গতকাল রবিবার দৈনিক কাজির বাজারকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা মূলত ওভারস্পিড, ওভারলোড, ওভারটেকিং ও ওভার কনফিডেন্স’র কারণে হয়ে থাকে। যদি রাস্তায় ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ি চালানো যায় তাহলে ৮০% সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।
আগামী প্রজন্মের জন্য সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ আপনার করণীয় কি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল ধরণের প্রচার-প্রচারণা, সেমিনার, চালকদের নিয়মিত রোড শো এগুলো করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যদি ট্রাফিক আইন এবং সাইন মেনে চলা হয় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। এছাড়া সকল চালকদের সকল ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়েই আমরা লাইসেন্স দিয়ে থাকি বলে জানান রিয়াজুল ইসলাম।