চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আলোকে শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে হবে : শাবি উপাচার্য

9

শাদমান শাবাব, শাবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শিক্ষার্থীদের এর আলোকে প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য নতুন উদ্ভাবন যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সফট স্কিল আর গবেষণা।’ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, ‘রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসবকিছু আমাদের ব্যবহার করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে এই বিষয়গুলোকে যেন অন্তর্ভুক্ত করতে পারি সেজন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগের কারিকুলাম তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যালামনাই প্রতিনিধি এবং একজন চাকরিদাতা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারবে কোন কোন বিষয়বস্তু থাকলে আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে ভালো করবে। আমি আশা করবো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। উদ্ভাবন এবং গবেষণায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাবো।’
শাবির স্কুল অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সস এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বিপ্লব। এখন ধারণা করা হচ্ছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে মানুষের কায়িক পরিশ্রমের জায়গা আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসবে। মানুষের সৃষ্টি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ধীরে ধীরে কলকারখানা, ঔষধ শিল্পসহ সর্বস্তরে কর্তৃত্ব করবে।’
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অদক্ষ জনশক্তি যারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে না তারা কর্মহারা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থাকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আলোকে না আনতে পারলে আমরা বহির্বিশ্বে মার্কেট হারাবো। আমাদের মোট জনশক্তির যে ৩০ শতাংশ তরুণগোষ্ঠী আছে, তাদের যদি ওই আলোকে তৈরি করতে না পারি তাহলে তারা দেশে-বিদেশে কাজ পাবে না। সেজন্য শিক্ষা এবং গবেষণাকে এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাজাতে হবে।’
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিফতাউল হকের সঞ্চালনায় কর্মশালা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী আবুল আনাম রাশেদ। এসময় বিভিন্ন বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।