নবীগঞ্জ সংবাদদাতা
হাতে দেয়া মেহেদীর রং শুকায়নি, কথা দিয়েছিলেন নববধূকে বড় অনুষ্ঠান করে ঘরে তুলবেন। কিন্তু তা আর হলো না। নববধূকে ঘরে তোলার আগেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল সেই বরের। নিহত বর হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সুবেদ আলম (৩৫)। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী সুবেদ। নিহত সুবেদ আলম (৩৫) উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামের মৃত ইরফান উল্লাহ’র পুত্র।
জানা যায়, গত রবিবার মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে আকদ সম্পন্ন হয় সুবেদ আলমের। কিছুদিন পর আনুষ্ঠানিক ভাবে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে শ্রীমঙ্গল শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন সুবেদ। পথিমধ্যে ফুলতলী বাজারে অপর আরেকটি গাড়িকে ওভারটেকিং করতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা সুনামগঞ্জ এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী সুবেদ। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসময় ১ ঘন্টা মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং দুর্ঘটনায় কবলিত বাস ও মোটরসাইকেলকে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুবেদ আলমের মৃত্যু হয়। যুবলীগ নেতা ও সামাজিক কর্মকাÐের সঙ্গে জড়িত সুবেদের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নেমে আসে শোকের ছাঁয়া।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন জানান, গত রবিবার সুবেদ আলমের আকদ সম্পন্ন হয়, কিছুদিন পর অনুষ্ঠান করে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরীমল চন্দ্র দেব নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।