উপহারে পাওয়া গাড়ি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য দিয়ে দিলেন হিরো আলম

12

চুনারুঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কথা রেখেছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের বাসিন্দা অধ্যক্ষ মাওঃ এম মোখলিছুর রহমান। নিজের ব্যবহৃত গাড়িটি তিনি বহুল আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়িতে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এম মোখলিছুর রহমান। কয়েকশ মানুষের সামনে গাড়িটি হিরো আলমকে বুঝিয়ে দেন তিনি। অবশ্য উপহারের গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারের জন্য দানের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘তিনি আমার ভাই। আমাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি ব্যস্ত থাকার কারণে আসতে বিলম্ব হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই আমাকে বলেছেন কেউ কিছু উপহার দিলে তা গ্রহণ করতে হয়। আমি উপহারের গাড়িটি আজ এসে গ্রহণ করেছি। কিন্তু এটির অবস্থা বেশি ভালো নয়। তবে যেমনই হোক, এটি আমি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে মানুষের সেবায় দান করে দিলাম। এটিতে নম্বর থাকবে। কেউ ফোন দিলেই সেটি চলে যাবে। অনেক গরিব, অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন। চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকে না। হাসপাতালে নিতে পারেন না। তাদের সেবার জন্য এ গাড়িটি ব্যবহৃত হবে। চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের আব্দুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের অধ্যক্ষ এম মোখলিছুর রহমান বলেন, ‘হিরো আলম আমার ভাই। বগুড়ার অনেক আলেম তার পক্ষে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের দেখেই তার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। আমিও সিদ্ধান্ত নেই সিলেট থেকে তাকে যদি আমার গাড়িটি উপহার হিসেবে দিতে পারি তবে বগুড়াবাসী ভোট দিতে হয়তো আরও উদ্বুদ্ধ হবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেকেই প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে। কিন্তু আমি এটি প্রমাণ করেছি সিলেটবাসীর মন এত ছোট নয়। আমার পরিবারও উদ্বুদ্ধ করেছে যেন আমি গাড়িটি দ্রুত দিয়ে দিই। আমার সন্তানরা বলছে আমি যে ওয়াদা দিয়েছি সেটি দ্রুত পূরণ করতে। গাড়িটি তাকে উপহার হিসেবে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ মোখলিছুর বলেন, গাড়িটি ২০১৮ সালে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় কিনেছিলাম। কিন্তু গাড়িটির কাগজপত্র ২০১৩ সাল থেকে আপডেট করা হয়নি। এখন সেটি আপডেট করতে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাগতে পারে। এদিকে গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাওঃ এম মোখলিছুর রহমানের বাড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হয়। গাড়িটিও সাজানো হয়। তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। শতাধিক চেয়ার সাজানো হয়। মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়।