হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণীর এক কিশোরী শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। গত শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ৭ টায় উপজেলা সদরের শুক্রীবাড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে কিশোরীর বাল্য বিবাহ পন্ড করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শফিকুল ইসলাম।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিবাহের আযোজন করার দায়ে কিশোরী কন্যার পিতা প্রবীর সুত্রধরকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ২ হাজার টাকা নগদ অর্থ দন্ড প্রদান করা। একই সাথে কিশোরীর ১৮ বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে কিশোরীর পিতার কাছ থেকে মুছলেখা আদায় করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের প্রবীর সুত্রধরের সদ্য নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া কিশোরী মেয়ের সাথে বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের প্রজেশ সুত্রধরের ছেলে বিভেশ সুত্রধরের বিবাহের আয়োজন করা হয়। চলছিলো বিয়ে সম্পন্নের সব প্রস্তুতিও। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শফিকুল ইসলাম বিয়ে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কনের পিতাকে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে আজমিরীগঞ্জ থানার এএসআই মনির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।