সোয়েব বাসিত :
সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। রেজিষ্ট্রেশন বিহীব এসব সিএনজি চলছে পুলিশের বিশেষ টোকেন দিয়ে। নগরী জুড়ে যেসব হালকা যান চলছে তার সিংহভাগই সিএনজি অটোরিক্সা। নগরী জুড়ে তীব্র যানজটের অন্যতম কারণও এসব সিএনজি অটোরিক্সা। যারা এসব নিয়ন্ত্রণের কথা তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়ই চলছে এই হালকা যানটি। বিগত কয়েক বছরে অতিমাত্রায় বেড়েছে সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা। বৈধ অবৈধ মিলিয়ে নগরী জুড়ে ঠিক কি পরিমাণ অটোরিক্সা চলছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। নগরীতে যেমন বেড়েছে অটোরিক্সার সংখ্যা তেমনি এই যানটিকে কেদ্র করে নগরীতে বেড়েছে অবৈধ স্ট্যান্ডের সংখ্যাও।
আর এসব যান ও স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হাতিয়ে নিচ্ছে শ্রমিক নেতারা। শ্রমিকদের নাম দিয়ে তাদের কল্যাণের নামে এসব টাকা তুলা হলেও তার বেশির ভাগই যাচ্ছে তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের পকেটে। নেতারা আয়েশি জীবন যাপন করলেও শ্রমিকরা দিন পার করে নানা অভাব অনটনে। নগরীর বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, আম্বরখানা, মেডিকেল, টিলাগড়, টুকেরবাজার, তেমুখী, কুমারগাঁও ও দক্ষিণ সুরমাসহ বিভিন্ন জায়গায় সিএনজ অটোরিক্সার স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে আলাদা আলাদা লাইন তৈরী করা হয়েছে এবং লাইনের মালিকানাও আলাদা। প্রত্যেক নেতার জন্য আলাদা আলাদা লাইন যেমন বরাদ্দ তেমনি চাঁদাবাজির টাকার অংকও আালাদা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানিয়েছেন নেতারা তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা তুললেও তাদের সুবিধা অসুবিধায় এক টাকাও ব্যয় করেননি। এমন কি বিগত করোনা ও বন্যার সময় শ্রমিকরা ধুঁকে ধুঁকে জীবন যাপন করলেও তথাকথিত নেতাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি এসব চাঁদাবাজ শ্রমিক নেতাদের।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিলেটে অটোরিক্সা শ্রমিক নেতাদের একাধিক গাড়ি বাড়ি ও ফ্লাট রয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা আয়েশি জীবন যাপন করেন তারা। কিন্তু যাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা নেতা সাজেন আর লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজিতে ভাগ বসান সেই সব শ্রমিকদের ভালো মন্দের খোঁজও রাখেন না।