তাহিরপুরের দুই সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচার, দেখার কেউ নেই

34

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্ত পথে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা দাপটের সাথে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে নিয়ে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া শুল্কস্টেশন সংলগ্ন টেকেরঘাট ও বালিয়ঘাট সীমান্তের লালঘাট, লাকমা, চুনাপাথর খনিপ্রকল্প, বরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্লাষ্টিকের বস্তা ভর্তি করে শতশত মেট্রিক টন কয়লা পাচাঁর করে প্রথমে বসতবাড়ির ভিতরে মজুত করে রাখে চোরাকারবারীরা। পরে রাত গভীর হলে পাচাঁরকৃত সেই অবৈধ কয়লা ঠেলাগাড়ি বোঝাই করে বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে বিক্রি করা হয়। এরপর টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের পিছনে অবস্থিত নদীতে অবৈধ কয়লা ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে এবং বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সামনে দিয়ে পাটলাই নদীতে ডুকে। তারপর নদীপথে শ্রীপুর-সোলেমানপর এলাকা হয়ে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে ১৭০টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধানকারী ৮টি মামলার আসামী ইয়াবা কালাম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, ইদ্রিস আলী ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়াগং। এসব সোর্স পরিচয়ধারীদের নেতৃত্বে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে ভারত থেকে শতশত মেঃটন চোরাই কয়লা পাঁচার করে দাপটের সাথে ওপেন বিক্রি করা হলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না বলে জানা গেছে।