সারি নদী থেকে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ

16

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারি নদীতে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সারিঘাট বাজারে সড়ক অবরোধ শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে পর্যটক, যাত্রীবাহী, রোগী বহনকারী যানসহ কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। বিশেষ করে পর্যটক ও নারী-শিশুরা অবরোধের কারণে বেকায়দায় পড়েন। এর আগে রোববার একই দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সারি নদী বাঁচাও আন্দোলন ও সারি বারকি শ্রমিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে সমাবেশ করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।
সারি বারকি সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলীর সভাপতিত্বে সড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন সারিঘাট বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমেদ, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতাই, বালু শ্রমিক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাবেক সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল অনুমতি ছাড়াই সারি নদীতে যন্ত্রের (বোমা মেশিন) ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করছে। বারবার বন্ধের দাবি করা হলেও প্রশাসন নীরব ভ‚মিকা পালন করছে। তা বন্ধ না হওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, সারি নদীর বালু মহাল ইজারা নিয়ে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নদীর উপরের দিকে ড্রেজিং করা হচ্ছে। একটি পক্ষ বন্ধের দাবি করছে। অবরোধের বিষয়ে তিনি খবর নিচ্ছেন বলে জানান।
থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, শ্রমিকরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন। কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না আসায় অবরোধ তারা প্রত্যাহার করছেন না। পুলিশ রাস্তা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছে।