মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
চট্টগ্রাম থেকে মৌলভীবাজারে আসার পথে এনা পরিবহনের একটি বাস থেকে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৬জনকে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
রবিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল চৌহমুনা এলাকায় এনা পরিবহন থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ওয়াজ মিয়া (৩৩) পিতা-মৃত নর আলম, ২. মো. হাফিজুর রহমান (২৮) পিতা-সামছুল হক, ৩.সৈয়দ আলী (২৭) পিতা-কাদের আলী, ৪. মো. নূর মোস্তফা (১৮) পিতা-রফিক ইসলাম, ৫. ছুমুদা খাতুন (৫০) স্বামী-রফিক ইসলাম, ৬. ফাতেমা খাতুন (৭০) স্বামী-মৃত নুর আলম, ৭. রোকেয়া বেগম (২৮) পিতা-মোহাম্মদ উল্লাহ, স্বামী-ওয়াজ করিম তারা সবাই কতুপালং রোহিঙ্গা টেনেস ক্যাম্পের বাসিন্দা।
৮.আশরাফা বেগম (১৮) স্বামী-মো. ফারুক হোসেন, পিতা-জাকির আহমেদ, সাং-ক্যাম্প নং-০১, বøক-ডি-১,
৯. ইয়াসমিন আরা (১৮) পিতা-মো. ইউসুফ, সাং-কুতু পালং ৪নং ক্যাম্প হেড বøক এফ-১৪, ১০. নূর সাহেরা (১৪) পিতা-নূর ছফা, সাং-বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১০ এইচ-৪৫, ১১. সফুদা বিবি (১৪) পিতা-জফুর হোসেন, সাং-বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮ ডবিøও ক্যাম্প, বøক-এইচ-২৯, ১২. জনুয়ারা বেগম (১২), ১৩. ইয়াছমিন আরা (১০) উভয় পিতা-রফিক ইসলাম, মাতা-ছমুদা খাতুন, সাং-কুতু পালং রোহিঙ্গা টেনেস ক্যাম্প, ১৪. আসমা বিবি (০৬), ১৫. নুরুল আমিন (০৮), ১৬. মোঃ এরফান (০৪) সর্ব পিতা-ওয়াজ করিম, মাতা-রোকেয়া বেগম, সর্ব সাং-কুতব পালং রোহিঙ্গা টেনেস ক্যাম্প,উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম সরদার বিকালে জানান, রবিবার সকাল ৭টায় মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ক্যশৈনু ছুটি ভোগ শেষে চট্টগ্রাম থেকে এনা পরিবহনে (গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো ১৫-৬৭০৩) যোগে মৌলভীবাজার আসার পথে সেই গাড়িতে থাকা কিছু যাত্রীদের তার রোহিঙ্গা হিসাবে সন্দেহ হয়। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি মৌলভীবাজার পুলিশ কন্ট্রোলরুমকে অবহিত করেন। মৌলভীবাজার পুলিশ কন্ট্রোল রুম বিষয়টি শ্রীমঙ্গল থানার ডিউটি অফিসারকে অবহিত করেন। পরে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মো. জাকির হোসেন শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় অবস্থান করেন । চট্টগ্রাম থেকে আগত এনা পরিবহনের গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো ১৫-৬৭০৩ গাড়িতে সিগনাল দিয়ে থামান। তখন গাড়িতে থাকা পুলিশ পরিদর্শক ক্যশৈন কিলো ডিউটিতে নিযুক্ত অফিসার এসআই জাকির হোসেনের সঙ্গে তার সন্দেহের বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করে গাড়িতে থাকা নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৬ জন যাত্রীকে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে এসআই জাকির হোসেন সব রোহিঙ্গাদের নিজ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে বলে স্বীকার করে।আটককৃত রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গমনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মৌলভীবাজার এসেছিল মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। থানা হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।