সৈয়দ সুজাত আলী :
স্বদেশের জন্য প্রবাসীদের মন কাঁদে। দেশের কল্যাণে তারা অবদান রাখতে চান। অনেক প্রবাসীদের পক্ষে কথা বলেন দেশ থেকে প্রবাসী এসে। মন্ত্রী ও এমপিরা প্রবাসীদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। প্রবাসীরা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। নাগরিক সুবিধা ভোগ করা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত-রাস্তা-ঘাট বাড়িতে ব্যাংকে প্রতিনিয়ত প্রবাসীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেক আত্মীয়-স্বজনের নিপিড়নের হাত হতেও রেহাই পাচ্ছেন না। দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসাকে মুলধন করে স্বার্থান্বেষী চক্র প্রতারণার সুযোগ গ্রহণ করে চলেছে। স্বজন টগাচ্ছে, বন্ধু প্রিয়জন টগাচ্ছে। মন্ত্রীরা কথায় কথায় অপমান করছেন। সরকারী অফিসে কোন কাজ করতে গেলে প্রবাসী জানতে পারলে শুরু হয় নানা রকম হয়রানি। একদিনের কাজের জন্য ১০দিন ঘুরতে হয়।
বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু অধিকাংশ প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড নেই। ফলে দেশে গেলে নিম্মতম নাগরিক সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এনআইডি কার্ড না থাকায় দেশে তাদের সম্পত্তি ও জমি-জমা ব্যাহাত হচ্ছে। বিক্রি করতে পারছেন না নিজের কেনা সম্পত্তি। চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন পৈত্তিক ও নিজের কেনা সম্পত্তি থেকে। এলাকার প্রভাবশালী টাউট-বাটপার অনেক আত্মীয় স্বজন বেদখল করে টগাচ্ছে প্রবাসীদের।
অন্যদিকে দৈত নাগরিকত্ব রাখা হলেও প্রবাসীরা সে সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে অর্থ পাঠান তাতে দেশের অর্থনীতির টাকা সচল থাকে। তাদের পরিচয় রেমিটেন্স যোদ্ধা। স্বদেশে প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং সহজ করলে দেশ ও সরকার লাভবান হবে। প্রবাসীরা যেভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন তাতে দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রবাসীদের দুরদর্শার ও অবশান ঘটাতে সরকারের যা যা করনিও তা করা দেশের স্বার্থে উচিত।