কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীনে করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েই চলছে। দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীনের উরুমকির একটি আবাসিক ভবনে আগুনে ১০ জনের প্রাণহানির পর দেশটিতে করোনা বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজধানী বেইজিং, সাংহাইসহ বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নামেন।
উরুমকিতে নিহতদের স্মরণ ও বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। বেইজিং ও নানজিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীরা প্রকাশ্যে ‘শি জিনপিং পদত্যাগ করুন’ ‘কমিউনিস্ট পার্টি পদত্যাগ করো’ শ্লোগান দেয়। কারও কারও হাতে সাদা ব্যানার ছিল। কিছু মানুষের হাতে ছিল জ্বলন্ত মোমবাতি।
এ সময় ‘লকডাউনের অবসান চাই’ বলেও শ্লোগান দেন অনেকে।
অনেককে পুলিশের গাড়ির সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বিক্ষোভ চলাকালীন তিনজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। বিবিসি এ ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে।
চীনে কোনো দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ খুব সহসা দেখা যায় না। আবার কেউ যদি সরকার বা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরাসরি সমালোচনা করে, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু শাস্তি উপেক্ষা করে দেশটির নাগরিকরা শি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে চীন। এরমধ্যেই উরুমকির একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের জিরো কোভিড নীতি ক্রমবর্ধমান অসন্তোষকে তীব্রভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। এ নীতির সঙ্গে শি জিনপিং জড়িত। অথচ, তিনি জনগণের কল্যাণকর কোনো কাজ থেকে বিচ্যুত হবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সাংহাইয়ের একজন বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেন, আমি অবাক পাশাপাশি কিছুটা উত্তেজিত। কারণ, আমি প্রথমবারের মতো চীনে এত বড় আকারের বিক্ষোভ দেখছি, যেখানে জনগণ সরকারের মতের সঙ্গে নিজেদের মত মেলাতে পারছে না।