স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে শনিবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পরিবহনের ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বিকেল ৫ টার দিকে শেষ হওয়ার পরপরই যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বৈঠকে বসে চার দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে যেসব অটোরিক্সার নিবন্ধন নেই, সেগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া, সিলেটের সব কটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া, সিলেটের লামাকাজী ও শ্যাওলা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ এবং হাইওয়ে সড়কে ব্যাটারিচালিত টমটম ও রিকশার চলাচল বন্ধ করা। এ ছাড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় গ্রিল সংযোজন এবং নতুন করে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার নিবন্ধন না দেওয়ার দাবিতে সিলেট জেলায় সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দেয়।
পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার পর বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এবং পরিবহন নেতাদের দিয়ে এসব ধর্মঘট পালন করানো হচ্ছে। তবে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতাদের দাবি ছিল, তাদের কর্মসূচি পূর্বঘোষিত।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবীর বলেন, ‘যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। নির্ধারিত কর্মসূচির পর ধর্মঘট শেষ হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের দাবির বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। আমরা দাবির বিষয়টি নিয়ে পরে যোগাযোগ করব।’
সিলেট জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মইনুল হক বলেন, আমরা সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্মঘটের কথা বলেছিলাম। এর মধ্যেই ধর্মঘট শেষ হয়েছে। আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। এ জন্য আমরা এইচএসসি পরীক্ষার পর আবার ধর্মঘট ডাকব।