স্পোর্টস ডেস্ক :
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ফিরল সেই প্রথম আসরের জায়গায়, তবে ইংল্যান্ডের জন্য প্রথম। আর ইউরোপে আট বছর পর আয়োজিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালের আসর।
মূল পর্বের ড্র’য়ে জায়গা না পাওয়ার কারণে এই আসর বয়কট করেছিল আফ্রিকার দেশগুলো।
সেই বয়কট, বিতর্কের পাশাপাশি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল; সবদিক থেকেই চাপে ছিল ইংলিশরা। তবে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা পেলের ইনজুরির কারণে তারা পার করতে পারেনি গ্রুপ পর্বও। এই সুযোগ একরকম ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে স্বাগতিক দল। জিতে নিয়েছে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা।
এই বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মতো ড্রাগ টেস্ট চালু হয়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমবারের মতো ফ্লাডলাইটের ব্যবহার শুরু হয়। সাত ভেন্যু থেকে বাড়িয়ে আট ভেন্যু পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয় এই আসর। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৯টি) অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।
এতকিছুর পরও জায়গা হয়নি আফ্রিকার দেশগুলোর। তাইতো তারা বয়কট করে এই বিশ্বকাপকে। মূল পর্বের সেই ড্রয়ে অর্ধেকেরও বেশি জায়গা করে নেয় ইউরোপের দেশগুলো।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ড্র দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আয়োজক ইংল্যান্ড। তবে দুই দলই শেষ পর্যন্ত কোয়ালিফাই করেছে নকআউট পর্বে। ইউরোপের বাকি দেশগুলো এবং আর্জেন্টিনাও তাদের পথে হেঁটেছে। তবে চমক দেখিয়ে ইতালিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কোয়ালিফাই করে উত্তর কোরিয়া।
পেলের সেই ইনজুরি ব্রাজিলকে বিদায় করে বিশ্বকাপ থেকে
পর্তুগালের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার ইউসেবিওর একের পর এক গোলে সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করে পর্তুগিজরা। তবে সেমিতে এসেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। হারলেও আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার নিজের করে নিয়েছিলেন ইউসেবিও।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচটি নাটকীয়তা তৈরি করে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানে অবশ্য বাজিমাত করে ইংলিশরাই। তবে এই ম্যাচে তাদের প্রথম গোল নিয়ে এখনও রয়ে গেছে বিতর্ক। জিয়ফ হার্স্টের নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে গোললাইন স্পর্শ করে। জার্মানি রেফারিকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেই গোলের সিদ্ধান্ত ইংলিশদের পক্ষেই যায়।
পরে অবশ্য সমতায় ফেরে পশ্চিম জার্মানি। আর অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করেন বিতর্কে থাকা সেই হার্স্টই। হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করে দলকে এনে দেন কাক্সিক্ষত শিরোপা।