স্টাফ রিপোর্টার :
জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) সিলেট আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়ক ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরিজম। গতকাল বুধবার সকালে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। গ্রেফতারের বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃত ডা. রাফাত জামায়াতের আমির ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন থেকে জঙ্গিসংগঠনগুলোর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি কয়েক বছর থেকে সিলেটে কেউ হিজরতের নামে ঘর ছাড়া, কেউবা ঘরে বলে বের হচ্ছেন আবার কেউ বা না বলে। সেইসব তরুণ ধর্মভীরু ছেলেদের জিহাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে হিজরতের নামে ঘর থেকে নিয়ে শেল্টার দিতো ডা. রাফাত। তবে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপর থাকায় অনেকেই বাড়ি ফিরে এলেও পরবর্তীতে তিনি আবার হিজরতের কথা বলে নিয়ে যেতো এবং তাদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসতো।
সূত্রটি আরও জানায়, জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) সিলেট আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলো ডা. রাফাত। তিনি ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদ করার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (এআরএসএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) উভয় সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে হিজরত করেন। দীর্ঘদিন থেকেই তিনি তরুণ ধর্মভীরু ছেলেদের জিহাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও তিনি বান্দরবনের নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) নেতাদের সাথে বৈঠক করে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১জন একসাথে আরাকানে যাওয়ার জন্য হিজরত করেন। এছাড়া সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সামনে স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারকে হত্যার পরিকল্পনাও করেন। তিনি সিলেটের আততাকওয়া নামক মসজিদে নিয়মিত সংগঠনের লোকজনদের সাথে সভায় মিলিত হতেন।