জগন্নাথপুরে ভোটযুদ্ধ কাল, কে হাসবেন বিজয়ের হাসি

16

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত জগন্নাথপুর উপজেলা। ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯০ হাজার ৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৫ হাজার ৩২৩ ও নারী ভোটার ৯৩ হাজার ৭১৬ জন। এবার ইভিএম ভোট হবে। ৮৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল ২ নভেম্বর বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমে সাদামাটা থাকলেও শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে নির্বাচনী ভোটযুদ্ধ। জনরায়ে কে হাসছেন বিজয়ের হাসি। তা দেখার প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন উপজেলাবাসী।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ সহ ৩টি পদের বিপরীতে মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আকমল হোসেন (নৌকা), সাবেক জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র হলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুক্তাদির আহমদ মুক্তা (আনারস), জমিয়তে উলামায়ে মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম (খেজুর গাছ) ও জাতীয় পার্টি পরিচিত যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রার্থী আব্বাস চৌধুরী লিটন (ঘোড়া)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র (তালা) উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ছালেহ আহমদ (চশমা), বিএনপি পরিচিত যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল মতিন লাকি (টিয়া পাখি), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন (মাইক) ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ তুহেল মিয়া (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ নেত্রী সুফিয়া খানম সাথী (ফুটবল), রিনা বেগম (কলস) ও সেলিনা বেগম (হাঁস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ২ মুখি লড়াই জমে উঠেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের হারানো চেয়ারম্যান পদটি পুনরায় উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তাদির আহমদ মুক্তা এবার চমক দেখাতে পারেন। জমিয়তের নতুন মুখ প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমও লড়াইয়ে আছেন। এ দুই প্রার্থীর ভোটের হিসাব-নিকাশ মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। শেষ সময়ে নির্বাচনে রাজনৈতিক মেরুকরণ, নিরবতার প্রকাশ ও আঞ্চলিকতার প্রভাব পড়তে পারে বলে ৩১ অক্টোবর সোমবার নির্বাচনী আলাপকালে একাধিক দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা জানান। সব মিলিয়ে নির্বাচনী কৌশল ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকা প্রার্থীর সহজ বিজয় হবে। তা না হলে চরম ভরাডুবি অপেক্ষা করছে। এদিকে-নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিñিদ্র নিরাপত্তা সহ সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।