স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি- ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি- স্বামীর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় লালাবাজার ইউনিয়নের নাজিরবাজার এলাকার এবদালপুর (কালিরগাঁও) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া সুমি বেগম (১৯) ওই গ্রামের জাকির মিয়ার স্ত্রী। জাকির মিয়া পেশায় একজন ট্রাক চালক। তিনি এবদালপুরের মফিক মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুমি সম্পর্কে জাকিরের তালতো বোন। প্রায় ৭ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক করে সুমিকে বিয়ে করেন জাকির। সুমি অন্তঃসত্তা ছিলেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ির লোকজন সুমি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এমনটি বলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সুমির বাবার বাড়ির লোকজন জাকিরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সুমিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
স্থানীয় কয়েকজন সালিশী ব্যক্তি জানান, ওই গৃহবধূ ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের একটি বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। স্বামীর পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে তার লাশ নামিয়ে হাসাপতালে নিয়ে যান। তবে লাশ নামানোর সময় সুমি জীবিত ছিলেন বলে স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার জানান- লাশের ময়না তদন্ত শেষে বলা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। আর ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তীত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।