মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ ও তার কন্যা দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এর ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের ভানুগাছ রোডস্থ পেট্রলপাম্পের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীমঙ্গল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ছমরুর সভাপতিত্বে নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম, সাবেক সহকারী মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার অমলেন্দু পাল, জেলা সহকারী কমান্ডার মো. আনসার আলী, ছোবহান মিয়া, সানু মিয়া, রতি কানু রায়, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের উপজেলা শাখার আহবায়ক রোটারিয়ান মিঠন পাল, সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন প্রমূখ।
এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যার জন্য দুর্বৃত্তরা হামলা করে। অবিলম্বে আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চান জড়িতদের বিরুদ্ধে। উপস্থিত সবাই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে সরকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জোর দাবি জানান।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, যে মুক্তিযুদ্ধারা আমাদের একটি দেশ উপহার দিয়েছেন সেই মুক্তিযুদ্ধা এবং তার সন্তানদের দেখে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। রাতের বেলা সরকারী বাসভবনে একজন মুক্তিযুদ্ধা ও তার সন্তানের ওপর হামলার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়, লজ্জা ও পরিতাপের বিষয়। এ ঘটনা গুরুত্বসহকারে নেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর রাতের বেলা হামলার ঘটনায় মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দেশের সকল উপজেলায় সরকার মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা ইউএনও দের নিরাপত্তায় উদ্যোগী হয়। সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখা, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৪ জন করে মোট ২৮ জন সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, তাদের নিজ তত্ত্বাবধানে মৌলভীবাজার সাত উপজেলায় ইউএনওদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা স্বার্থে আনসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।