লড়াই করে নামিবিয়ার হার

9

স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেলেন ডেভিড ভিসা। তারপরও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
শেষ ওভারে বিদায় নিয়ে সুপার টুয়েলভের স্বপ্নভঙ্গ হয় নামিবিয়ার। দলটির বিপক্ষে আরব আমিরাতের রোমাঞ্চকর জয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে ঠিক হয় নেদারল্যান্ডস।
বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়ায় নামিবিয়াকে ৭ উইকেটে হারায় আরব আমিরাত। এই জয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। এর আগে দলটির বিপক্ষে জয়লাভ করে আগেই পরবর্তী পর্ব নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় ‘এ’ গ্রুপে দ্বিতীয় হয় নেদারল্যান্ডস।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া শ্রীলঙ্কা সুপার টুয়েলভের এক নম্বর গ্রুপে জায়গা করে নিয়েছে। রানার্সআপ হওয়া নেদারল্যান্ড দুই নম্বর গ্রুপে মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানকে।
টস জিতে আগে ব্যটিংয়ে নেমে মুহাম্মদ ওয়াসিম ও রিজওয়ানের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় আরব আমিরাত। জবাব দিতে নেমে ব্যর্থ হয় নামিবিয়ার টপ ও মিডল অর্ডার। শেষে গিয়ে একাই লড়াই করেন ডেভিড ভিসা। তাকে সঙ্গ দেন রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি তারা। ১৪১ রানেই থেকে যেতে হয় নামিবিয়াকে।
মোহাম্মদ ওয়াসিম ও বৃত্ত আরবিন্দের ধীরগতির ব্যাটে ভালো শুরু পায় আরব আমিরাত। ৪৯ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর আরবিন্দ ২১ রানে বিদায় নিলে ওয়াসিমকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক রিজওয়ান। এই দুই ব্যাটার গড়েন ৪১ বলে ৫৮ রানের জুটি। অর্ধশতক করে এরপর উইকেট হারান ওপেনার ওয়াসিম। তবে লড়তে থাকেন রিজওয়ান। সঙ্গে বাসিল হামিদের ১৪ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভালো সংগ্রহ পায় আরব আমিরাত। দলটির অধিনায়ক ২৯ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নামিবিয়ার ওপেনাররা। স্টিফেন বার্ড মাত্র ৪ রানে বিদায়ের পর আরেক ওপেনার মাইকেল ফন লিংগেনও উইকেট হারান ১০ রানে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। একে একে বিদায় নেন লফটি এটন, গেরহাড এরাসমাস, ফ্রাইলিঙ্ক ও জেজে স্মিত। এরপর দলের হাল ধরেন ডেভিড ভিসে। মাঝে জ্যান গ্রিন ২ রানে ফিরলেও ট্রাম্পেলম্যান এসে সঙ্গ দেন ভিসেকে।
থিতু হয়ে থাকা ভিসে ৩১ বলে অর্ধশতক হাকিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ ওভার নামিবিয়ারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। বোলিংয়ে আসেন ওয়াসিম। প্রথম তিনটি বল ধীরে সুস্থে খেলে ভিসে রান বাড়ালেও চতুর্থ বলে ব্যর্থ হন। বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। এর আগে খেলে যান ৩৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৫ রানের ইনিংস। পরবর্তী ২ বলে মাত্র ২ রান নিতে পারে দলটি। ২৪ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ভিসের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা ট্রাম্পেলম্যান।
ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাকানোর পর বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ায় আরব আমিরাতে ওয়াসিম ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। এছাড়া জোড়া উইকেট পান বাসিল হামিদ ও জহুর খান।