চুনারুঘাটে পিস্তল আতঙ্কে চা-শ্রমিকরা ॥ পারকুল বাগান ব্যবস্থাপক লিটন অপসারণের দাবিতে ২ দিন কর্মবিরতি

35

চুনারুঘাট থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পারকুল চা বাগান ব্যবস্থাপক লিটনকে অপসারণের দাবিতে পারকুল-নাসিমাবাদ চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নাচঘর প্রাঙ্গণে দু-বাগানের সকল চা-শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজে না গিয়ে বাগান ম্যানেজার লিটনকে অপসারণের দাবিতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে যাচ্ছে। এ সময় প্রতিবাদী শ্রমিকরা জানান, বাগান ব্যবস্থাপক লিটন পারকুল চা বাগানে যোগদানের পর থেকেই তিনি, বেপরোয়া হয়ে বাগানে ঘুরে কর্মরত বিভিন্ন শ্রমিকদের প্রতি কথায়-কথায় প্রায়ই তার ব্যবহৃত পিস্তল উঁচিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন, বিভিন্ন অপরাধচক্রের লোকজন ও বহিরাগতদের এনে আড্ডায় ব্যস্ত থাকেন তিনি। গত সোমবার রাতে রঞ্জিত তাতীর ছেলে ফ্যাক্টরী মিস্ত্রী নয়ন তাতী, শংকর ভূনার্জীর ছেলে নন্দন ভূনার্জী, সুরেশ ভূনার্জীর ছেলে বিজন ভূনার্জীকে ডিউটি থাকাকালীন সময়ে অপর কর্মরত বাঙালি শ্রমিক সুরুজ আলীর ছেলে ছিদ্দিক আলী গং উল্লেখিত কর্মরত মিস্ত্রীদেরকে মারধোর ও ঘার ধাক্কা দিয়ে ফ্যাক্টরী থেকে বের করে দেয়ায় এবং উপরোক্ত ঘটনাবলীতে ব্যবস্থাপক লিটন সংশ্লিষ্ট তার অপসারণের দাবী জানান, প্রতিবাদকারী বাগানের চা-শ্রমিকরা। তবে ব্যবস্থাপক লিটনের পিস্তল অবৈধ না বৈধ তা জানেন না শ্রমিকরা এ নিয়ে সংশয়। ব্যবস্থাপক অপসারণের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি সভায় উপস্থিত ছিলেন- রাণীগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর, ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি আইয়ূব আলী ও চুনারুঘাট উপজেলা যুবলীগ নেতা ও রাণীগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারী সাংবাদিক ফারুক মাহমুদ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ও শ্রমিকদেও কাজে ফেরার প্রস্তাব দিলে শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বাগান ব্যবস্থাপক লিটন অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না পারকুল-নাছিমাবাদ চা-বাগানের শ্রমিকরা। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল নেতৃবৃন্দ ও বাগান কর্তৃপক্ষের নিকট তারা লিখিত দাবী ও কর্মবিরতি করে অপসারণের দাবী জানিয়েছেন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা। ব্যবস্থাপক লিটনের বেপরোয়া চলাফেরায় অতিষ্ঠ এবং পিস্তল সাব আতঙ্কে চা-শ্রমিকরা। শ্রমিকরা দুইদিন কাজে যোগদান না করায় বাগানের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বাগানের ডিজিএম, এজিএম এসে শ্রমিকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করলেও, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে।