বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হলেন বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম

155

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।
সোমবার যশোরে শেষ জানাযার পর কারবালা কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিককে দাফন করা হয়। বাদ আসর যশোর ঈদগাহ মাঠে তার জানাযা হয়। জানাযায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন।
এর আগে সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রথম দফা, পরে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নয়াপল্টনের জানাযায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদসহ দলের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। পরে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতারা।
রবিবার বিকালে নানা রোগে আক্রান্ত তরিকুল ইসলাম রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান।
ঢাকার জানাযা শেষে বিকাল ৩টার দিকে যশোর শহরের ঘোপের নিজ বাড়িতে নেয়া হয় তরিকুল ইসলামের মরদেহ। সেখান থেকে শহরের লালদিঘী পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়। এখানে তাকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর তরিকুল ইসলামের মরদেহ নেয়া হয় যশোর ঈদগাহ মাঠে। সেখানে লাখো অশ্রুসিক্ত জনতা তাদের প্রিয় নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তরিকুলের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত একদিনের শোক পালন করে বিএনপি। সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
জানাযার আগে তরিকুল ইসলামের ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন আপনাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে তিনি তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন নিজের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার। দলের নীতি, আদর্শ এবং সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি কখনো যাননি। তারপরও আমার বাবার কথাবার্তা, আচার-আচরণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন। দোয়া করবেন তার সন্তান হিসেবে আমরাও যেন দল, দেশ এবং মানুষের সেবা করতে পারি।’