মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী মো. সাজেদুল ইসলামের দিক-নির্দেশনায় পূজা উদযাপনে বিভিন্ন কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। পূজা উদযাপনে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, আনসার ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্ডপ কমিটি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে প্রশাসন খুবই কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের দুর্গোৎসবটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে প্রশাসন সহ সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সতীশ গোস্বামী জানান, এবার জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মোট ৪০টি মন্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজাটি ১ অক্টোবর শনিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ৫ দিন ব্যাপী চলবে। জগন্নাথপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, ৪০টি মন্ডপে মোট ২৭০ জন আনসার ভিডিপি সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার এসআই জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার জানান, প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সার্বক্ষণিক নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাজেদুল ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজাটি উপহার দেয়া হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।
৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জগন্নাথপুর পৌর শহরের পূর্বভবানীপুর ভটবাড়ি পূজা মন্ডপে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মাটি ও বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে রং-তুলির আঁচরে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা নির্মাণে ফিনিশিং কাজ করছেন মৃৎশিল্পী নিতাই সূত্রধর। এ সময় নিতাই সূত্রধর জানান, আজ রাতের মধ্যে কাজ শেষ করে মন্ডপ আসনে বসানো হবে প্রতিমা। জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী রেনু শর্মার পরিবারের পক্ষ থেকে ১৯৭৫ সাল থেকে ভটবাড়িতে দুর্গোৎসব হয়ে আসছে। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে এখনো অনেক মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে তা শেষ হয়ে শনিবার থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।