ক্বাশিফুল উলুম মাদ্রাসার প্রথম সহকারি মোতাওয়াল্লী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান বলেছেন, ক্বাশিফুল উলুম মাদ্রাসা কে ভবিষ্যতে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে হবে। এই মাদ্রাসার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে এলাকাবাসীসহ দেশের প্রবাসী বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। একটি উন্নত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা খাদিম নগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার পীরেরগাঁও এলাকায় প্রায় একশ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত ক্বাশিফুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে এক জরুরী সাধারণ সভায় প্রধান আলোচক এর বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মাদ্রাসার মোতাওয়াল্লী হাজী মো. সুফি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা কামরান আহমদ।
সভায় বিগত ০১/০১/২০২০ইং তারিখে মূল মোতাওয়াল্লী হাজী সুফি মিয়া কর্তৃক জনৈক সায়েস্তা মিয়া (পিতা- মরহুম আকলুছ মিয়া) কে প্রদত্ত ৭১৮নং রেজিষ্ট্রারি দলিলমূলে ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে দেওয়া মোতাওয়াল্লী পদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল ঘোষণা করা হয়। একই সাথে মূল মোতাওয়াল্লী হাজী সুফি মিয়াকে মাদ্রাসা পরিচালনা করার জন্য মোতাওয়াল্লী হিসেবে বহাল করা হয়। এদিকে তার বিদেশ গমনে বা অবর্তমানে এমনকি শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিলে মাদ্রাসার প্রথম সহকারি মোতাওয়াল্লী মো. আব্দুল মালেক খান (যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান) কে মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া প্রথম সহকারি মোতাওয়াল্লীকে প্রধান করে সিলেটের ইসলাম দরদী বিত্তবানদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রহিম, হাবিবুর রহমান, টুনু মিয়া, মাস্টার মো. ফয়সল মিয়া। উপস্থিত ছিলেন, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আব্দুল জব্বার, মো. ময়নুল ইসলাম, মো. আব্দুর রহিম, হাজী মো. নুরুল হক হারুন, মো. কামরান আহমদ, মো. পারভেজ আহমদ, মো. আহসান হোসেন, ফরহাদ আহমদ, মো. জাকির আহমদ, দেলোয়ার হোসাইন, জিয়াউর রহমান, কাওসার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি