মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আগুনে পুড়ে সর্বহারা পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এতে মৃত্যু থেকে বেঁচে গেলেও এখন যেন কষ্টের শেষ নেই। একটি অগ্নিকান্ড, সারা জীবনের কান্না এ অবস্থা হয়েছে তাদের। তাই বাধ্য হয়ে তারা সরকার সহ দেশ-বিদেশে থাকা হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর জহির মিয়ার একটি পুরনো টিনসেট ঘর ছিল সড়কের পাশে। এ ঘরে মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী-সন্তান সহ ১৩ জন মানুষ কোন রকমে বসবাস করতেন। দিনমজুর জহির মিয়ার উপার্জনে কোন রকমে চলতো তাদের সংসার।
এর মধ্যে গত ২৮ আগষ্ট ভোররাতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডে জহির মিয়ার পুরো বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা ঘুমন্ত মানুষগুলো মৃত্যু থেকে বেঁচে গেলেও গবাদিপশু, পানির মেশিন, ধান, চাল, কাপড়, আসবাবপত্র সহ তাদের সব পুড়ে গেছে। এতে সর্বহারা পরিবারের কান্না থামছে না। খবর পেয়ে অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানহারা অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অসহায় পরিবারকে চাল ও শুকনো খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেন।
১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া টিন দিয়ে বসতভিটার পাশে ভাঙ্গাচোরা ছোট ঘর বানিয়ে তারা কোন রকমে বসবাস করছেন। এ সময় অসহায় পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত জহির মিয়া বলেন, এ ঘরে পরিবারের সবার জায়গা হয়না। রাতে আমরা পালাবদলে ঘুমাই। তার উপর বৃষ্টি পড়ে। প্রশাসনের দেয়া খাবারও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোথায় পাবো ঘর, খাবার ও কাপড় বুঝতে পারছি না। আগুনে সর্বহারা হয়ে গেছি। তাই সরকার সহ দেশ-বিদেশে থাকা সকল হৃদয়বান মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই। কেউ সাহায্য করতে চাইলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত জহির মিয়ার মোবাইল নং-০১৩০৪২৮১৮৯৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সর্বহারা পরিবার। স্থানীয়রা জানান, গরীব মানুষের এমন ক্ষতি মেনে নেয়া যায় না। তাদের এতো কষ্ট সহ্য হচ্ছে না। তাদের পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম জানান, প্রথমে খাবার দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছি। অচিরেই আরো আর্থিক সহযোগিতা করবো। সেই সাথে সরকারিভাবে তাদের সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছি।