কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহা সড়কের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তায় বাস রয়েছে দুইটি পরিবহনের। সরকারি বিআরটিসি’র সাথে রয়েছে সাদা পাথর পরিবহন। ট্যুরিস্ট বাস লেখা সাদা পাথর পরিবহনের গতির কাছে হার মানে সব ধরনের পরিবহন। মাত্র ৩০ মিনিটে পাড়ি দেওয়া যায় ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা। এতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে বারংবার পড়ছে দুর্ঘটনার কবলে। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১ টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের তেলিখাল শাহপরান ফিলিং স্টেশন-২ এর ভিতর ঢুকে পড়ে। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ আসার পথে ফিলিং স্টেশনের সামনে ভোলাগঞ্জগামী ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায় সাদা পাথর পরিবহনের বাস। বাসের ধ্বাক্কায় ভেঙ্গে যায় ফিলিং স্টেশনের সিসি ক্যামেরার পিলার। বাসের বাম সাইট দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ১৫-২০ জন যাত্রী আহত হোন। সুমি আক্তারের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অন্য যাত্রীদের কেউ গুরতর আহত না হওয়ায় সবাইকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাদা পাথর পরিবহনের চাপায় এ বছরের জুলাই মাসে মা ছেলে নিহত হন। এর আগে তেলিখালে সাদা পাথরের চাকায় পিষ্ট হোন এক বৃদ্ধ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া সাদা পাথর পরিবহনের বাস এ পর্যন্ত বেস কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটায়। বেপরোয়া গতি আর অদক্ষ ড্রাইভারের জন্য এসব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বাসের যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী আলাল মিয়া জানান, সিলেট থেকে বাস ও ট্রাক দুটোই আসছিল। ট্রাক পাম্পে ঢুকতে ইন্ডিকেটর জালিয়ে ডানে মোর নিতেই বাস ওভারটেক করতে চায়। এ সময় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাম্পে ঢুকে পড়ে।
বাসের যাত্রীরা জানান, বেপরোয়া গতিতে সব সময় চালায় সাদা পাথর পরিবহন। চালকদের বললেও তারা লিমিট স্পিডে চালায় না। এতে করেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার প্রভাকর রায় বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত প্রায় ১৫ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। তাদের কাউকে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়নি। আর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, দুর্ঘটনায় কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সাদা পাথর বাস আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।