স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ নিয়েছেন সিলেট বিভাগের ৮৪ লাখ ১১ হাজার ৭৭১ জন মানুষ। এছাড়া ২য় ডোজ নিয়েছেন ৭৯ লাখ ১১ হাজার ৯৯৮ জন। এর বিপরীতে গত ২৮ আগষ্ট রবিবার পর্যন্ত বিভাগে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে সিলেট বিভাগের মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ৪৬৪ জন। এরমধ্যে ১২ বছরের ঊর্ধ্বের জনসংখ্যা রয়েছেন ৯০ লাখ ১ হাজার ৫২৫ জন। এরমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের জনসংখ্যা আছেন ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৯ জন। ইতোমধ্যে দেশে প্রথমে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে, পরবর্তীতে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে এবং সর্বশেষ ৫ বছরের ঊর্ধ্বের শিশুদের করোনা টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনার টিকার ১ম ডোজ নিয়েছেন ৮৪ লাখ ১১ হাজার ৭৭১ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ২৯ লাখ ৩০ হাজার ১২১ জন ও মহানগর এলাকায় ৬ লাখ ১৭ হাজার ৮০৮ জন রয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় ১৯ লাখ ২০ হাজার ৪০৮ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ১৮ লাখ ৮ হাজার ১০ জন ও মৌলভীবাজারে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৩২ জন করোনা টিকার ১ম ডোজ নিয়েছেন।
এদিকে বিভাগে করোনা টিকার ২য় ডোজ নিয়েছেন ৭৯ লাখ ১১ হাজার ৯৯৮ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলার ২৭ লাখ ৮ হাজার ৪৭০ জন ও মহানগরের ৬ লাখ ১১ হাজার ৫২৬ জন ২য় ডোজ নিয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬০ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৭৪ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৪ জন ২য় ডোজের টিকা নিয়েছেন।
সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজের আওতায় এসেছেন ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৬ জন মানুষ। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৭ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৫ জন ও মহানগর এলাকার ২ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৭ জন রয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার ৭ লাখ ২ হাজার ২৪৪ জন, হবিগঞ্জ জেলার ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ৫ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ জন বুস্টার ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরীর প্রধান টিকাদান কেন্দ্র ছাড়াও জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১ম, ২য় ও বুস্টার ডোজের টিকা কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে ১ম ও ২য় ডোজের কার্যক্রম খুব বেশী দিন চালু রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা: হিমাংশু লাল রায় বলেন, সংখ্যার দিক থেকে ২৬ লাখ মানুষের বুস্টার ডোজের আওতায় আসা কিন্তু কম নয়। কেন্দ্র থেকে মাঝে মাঝে বিশেষ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন পালন হলেও আমরা বিভাগে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম নিয়মিত রেখেছি। এখনো প্রধান টিকা কেন্দ্রগুলোতে ১ম ডোজ, ২য় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে দেশে শিশুদের টিকা কার্যক্রম চললেও আমাদের স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম কিন্তু বন্ধ হয়নি। বুস্টার ডোজের ৬ মাস পর হয়তো আরেক ডোজের টিকার প্রয়োজন পড়তে পারে। বিশে^র কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে ৪র্থ ডোজের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও হয়তো ৪র্থ ডোজের কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা আসতে পারে।
তিনি বলেন, ১ম ডোজের সংখ্যা অনুপাতে যেমন ২য় ডোজের হিসাব মিলানো যায়না। তেমনি ২য় ডোজের অনুপাতে বুস্টার ডোজের হিসাবও মিলানো যায়না। কারণ ২য় ডোজের ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। যাদের ২য় ডোজের ৬ মাস পেরিয়ে গেছে তাদের উচিত নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে গেয়ে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা।