গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির উত্তর গোয়াসপুর গ্রামে মাওলানা ফারুক আহমদের বাড়িতে।
এ ব্যাপারে ঘটনার শিকার মাওলানা ফারুক আহমদের স্থী রানু বেগম বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, উত্তর গুয়াসপুর গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের পুত্র সালমান আহমদ (২৫), সুলেমান আহমদ (৩৫), সুলতান আহমদ (২৮), সাফওয়ান আহমদ (২১) ও সামিয়ান আহমদ (১৯)।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ, বিবাদিদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। চলিত মাসে আমার বাড়ির সীমীনা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করতে গেলে উল্লেখিত বিবাধীরা আমাদেরকে গালিগালাজ করে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে। আমরা নিরুপায় হয়ে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে গত শুক্রবার ২১ আগষ্ট জুম্মার নামাজে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হলে উল্লেখিত বিবাধীরা আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা রানু বেগমকে (৪৫) মারতে থাকে তখন তার কিশোরী মেয়ে হুমামা বেগম (১৩) এগিয়ে আসলে তাকে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে তার হাতে কোপ মারে এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের আর্তচিৎকারে পার্শবর্তী লোকজন এগিয়ে আসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং উভয়পক্ষকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না করে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি।