পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ॥ যুক্তরাজ্য প্রবাসী আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে

43

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আঙ্গুর মিযার বিরুদ্ধে অপপ্রচার মিথ্যাচার করেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার জয়নাল আহমদ। জয়নাল ও তার সহযোগীদের হুমকির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না এই প্রবাসী। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন আঙ্গুর মিয়ার চাচা মো. ইছন মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে ইছন মিয়া বলেন, তাদের প্রতিবেশী আরফান আলী উরফে জহুর আলীর পুত্র জয়নাল আহমদ গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে তার এবং তার ভাতিজা বাংলাদেশি বংশেদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন। আঙ্গুর মিয়া দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। দীর্ঘ দশ বছর পর তিনি দেশে এসেছেন। পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের দেখতে দেশ মাতৃকার টানে তিনি অনেক আশা নিয়েই দেশে এসেছিলেন। কিন্তু দেশে আসার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় আঙ্গুর মিয়াকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে সাবেক মেম্বার জয়নাল অশালীন ভাষা ব্যবহার করে বক্তব্য দিয়েছেন। ইছন মিয়া বলেন, জয়নালের সাথে আমাদের ভূমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও আঙ্গুর মিয়ার সাথে জয়নালদের কোন বিরোধ নেই। এরপরও জয়নাল ও তার সহযোগীরা আঙ্গুর মিয়া দেশে আসার পর নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাদের দায়ের করা বিভিন্ন মামলা ইতোমধ্যে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
ইছন মিয়া বলেন, জয়নাল আমার ভাতিজা আঙ্গুর মিয়াকে ভূমিখেকো ও দুশ্চরিত্রের লোক বলে আখ্যায়িত করেছেন। আমার ভাতিজা সম্পর্কে এরূপ কোন প্রমাণ দেখাতে পারলে আমি তাকে পুরস্কৃত করবো। আঙ্গুর মিয়া একজন শান্তিপ্রিয় এলাকার সর্বমহলে সুপরিচিত দানশীল ব্যক্তি। মসজিদ মাদরাসায় ভূমি, দোকান কোটা ও টাকা পয়সা দান করে যাচ্ছে সে। এছাড়া জয়নাল বলেছেন আমার ভাতিজা নাকি টাকার বিনিময়ে নিজের পিতার নামে কবরস্থানের ভূমি রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। আমার ভাই মৃত আবুল মিয়ার সব সম্পত্তি ২০০৪ সাল থেকে দেখভাল করতেন জয়নাল আহমদের পিতা আরফান আলী । আর তিনিই আঙ্গুরের পিতা আবুল মিয়ার নামে ২০০৪ সালে কবরস্থান দিয়েছেন। এখন ২০২২ সালে এসে জয়নাল আহমদ বলছেন আমার ভাতিজা আংগুর মিয়া নাকি টাকা দিয়ে তার বাবার নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। সবগুলো কথাই মিথ্যা, টাকা দিয়ে যদি সে রেকর্ড করাতো তাহলে তার বাবার নামে না করে তার নামে করাতো। আঙ্গুরের পিতা সকল সম্পত্তি অর্জন করেছেন এবং সবাইকে সমানভাবে ভাগ করে দিয়েছেন। বাটোয়ারা দলিলও আমাদের রয়েছে। আমার ভাই আবুল মিয়া উনার মেয়কে বিয়ে দিয়ে জয়নালের বড় ভাই বেলালকে লন্ডনে নিয়েছেন এবং সেখানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ইছন মিয়া আরও বলেন, তারা আমাদের ওপর হামলা করে আমাদের নির্মাণ সামগ্রী ছিনতাই করে নিয়ে ছাদের উপর রেখে অস্ত্র হাতে উল্লাস করেছে। সেই ভিডিও পুলিশ প্রশাসনের হাতে রয়েছে। এহসানুল হককে বলাৎকারে ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। কারণ এ ঘটনায় তারা যে মামলা করেছিল সেটি সম্প্রতি আদালত কর্র্তৃক মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের বাড়ির ভেতরে রাস্তা বলে কিছু উল্লেখ নেই। যার যার সুবিধামততে চলাফেরা করেন সবাই। বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকে রেকর্ডীয় একটি রাস্তা রয়েছে। যেটি দিয়ে সবাই চলাফেরা করেন। রাস্তার সীমানার কোন পিলার কখনো ছিল না। শুধুমাত্র সবার জায়গার সীমানা পিলার ছিল এবং আছে। কেউ পিলার তুলেনি। বরং আমার ভাই মৃত আফতাব আলীর সীমানা পিলারটি তারা ভেঙ্গে ফেলেছে। আমাদের সীমানায় দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে তারা বাধা দেয় এবং হামলা চালায়। তাদের হামলা ও মামলার পর পুলিশ এসে সার্ভে করার কথা বলে। এর প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের দুজন সার্ভেয়ার এনে পুলিশের উপস্থিতিতে সার্ভে করা হয়। সার্ভে করার পর পরিষ্কার হয় যে বাড়ির ভেতরে কোন রাস্তা নেই। এছাড়া আমাদের বাড়ির পেছনের পুকুরের মালিকানা আমরা চার ভাইয়ের। জয়নালদের এই পুকুরে কোন মালিকানা নেই। সংবাদ সম্মেলনে ইছন মিয়া জানান তার ভাতিজা প্রবাসী আঙ্গুর মিয়া তার জানমাল রক্ষায় জয়নাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।