মাসব্যাপী সমন্বয় করে জাতীয় শোক দিবস পালনের উদ্যোগ ॥ শেখ কামাল ও বঙ্গমাতার জন্মদিনে কেক কাটা যাবে না

7
প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান।

সিলেটে এবার সমন্বয় করে মাসব্যাপী জাতীয় শোক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৫ আগষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিত রাখা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ১ আগষ্ট থেকে বিভিন্ন দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন লাগানো যাবে। নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকর্ম তুলে ধরতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর সমন্বয় করে মাসব্যাপী আলোচনা সভার আয়োজন করবে। স্কুল-মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে। একই সঙ্গে জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ওই দিন বাদ যোহর প্রতিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মন্দির, গীর্জা ও চার্চে সুবিধামত সময়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। জাতীয় কর্মসূচির আলোকে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে কেক কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই দিন কেক কেটে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা যাবে না।
আগামী ৫ আগষ্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও ৮ আগষ্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয়ভাবে গৃহিত তিনটি দিবসের কর্মসূচী উপাস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত।
প্রস্তুতি সভায় নেওয়া সিদ্ধানের মধ্যে রয়েছে আগামী ৫ আগষ্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিনে জেলা প্রশাসনের সামনে সকাল ৯টায় তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পরে জেলা পষিদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও বাদ জুম্মা দোয়া মাহফিল। এছাড়া জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করবে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগতার।
আগামী ৮ আগষ্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া দুস্থ মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করে জেলা মহিলা সংস্থা।
সভায় অংশ নেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার মো, আজবাহার আলী শেখ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, সিলেট ওসমানী মেডিকেলের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপক তৌফিকুল আহসান চৌধুরী, সিলেট কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলা মো. মাসুদ পারভেজ রুবেল, ইসলামী ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. আবু ছিদ্দিকুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক উজ্জ্বল শীল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের উপ পরিচালক পবিত্র কুমার দাশ, সিলেট আনসার ও ভিডিপির সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট এ এস এম এনামুল হক, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, জেলা শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা মৎস্য অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রহুল আলম, জেলা মহিলা সংস্থার উপ পরিচালক শহীনা আক্তার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞা, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. নূর হোসেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী রামীম ইবনে জাহান, জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ট্রেনিং অফিসার ডা. মু. আলমগীর কবির, সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবাহওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মলয় ভূষন চক্রবর্তী ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা। বিজ্ঞপ্তি