স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাউনের ৭ম দিনে নগরীতে জনসমাগম অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বাঁশ ফেলে চলছে পুলিশের অভিযান। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল না করতে পারে সেজন্য বাঁশ টানানো হয়েছে। বাঁশ অতিক্রম না করতে পেরে অনেকেই ফিরে যেতে দেখা যায়। তবে জরুরী কাজের জন্য যারা বের হচ্ছেন তাদের সার্বিক বিষয় তথ্য নিয়ে পুলিশ ছেড়ে দিতে দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় সিএনজি অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি ও রিক্সা তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। সেই সাথে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশও কঠোর অবস্থান নেয়। যানবাহন আটকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চায়। সদুত্তর না পেলেই যাত্রী নামিয়ে দিয়ে মামলা ঠুকে দেয় সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধে। সেই সাথে জরিমানাও করা হচ্ছে।
নগরীর কালিঘাট, বন্দরবাজার, মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে জনসমাগম কিছুটা বেশী দেখা গেছে। এছাড়া অলি গলিতে ভাসমান পণ্য বিক্রেতাদের তৎপরতা ছিলো আগের দিনের চেয়ে একটু বেশী। সেই সাথে নগরীর গুরুত্বপূর্ণস্থানে হকারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের নির্দেশনা না মেনে যারা বের হয়েছে তাদেরকে পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দিচ্ছে না। এমনকি তাদেরকে সর্তক করেও দিতে দেখা যায়।
লকডাউনের সময় বাহির হয়ে অনেকেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। এছাড়া নির্দেশনা না মানায় সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, গত ৬ দিনের মতো মঙ্গলবার নগরীর মূল সড়কে জনসমাগম ও জনসাধারণের চলাচল কম থাকলেও অলি-গলিতে লোকজনের উপস্থিতি দেখা মিলছে তুলনামূলক কম।
মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, লকডাউন চলাকালে সর্বোচ্চ সর্তক থেকে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। সেই সাথে মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে থানা ভিত্তিক টহল পুলিশ। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। পুলিশের অভিযান ও চেকপোস্ট অব্যাহত রয়েছে।