বুলবুলের বাড়িতে শোকের মাতম

5

স্টাফ রিপোর্টার :
শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত বুলবুল আহমেদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে শোকের মাতম চলছে। ছিনতাইকারীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করলেও এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলছে নিহতের পরিবারের।
গত সোমবার সন্ধ্যায় শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নরসিংদীর ছেলে বুলবুল আহমেদ।
জানা গেছে, বুলবুল নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার পুত্র। ৭ মাস আগে মারা গেছেন তার বাবা। একমাত্র বড় ভাইয়ের বেসরকারি চাকরি ও বুলবুলের টিউশনির টাকায় চলত তাদের ৫ সদস্যের সংসার। আদরের ছোট ভাই বুলবুল আহমেদের মৃত্যুর খবর শোনার পর নিজ বাড়ি নরসিংদী সদরের চিনিশপুরে আহাজারি করছেন বড় বোন সোহাগী আক্তার। তিনি বলেন, স্বপ্ন ছিল বুলবুল বিসিএস ক্যাডার হবে। নিম্নবিত্ত এই সংসারের হাল ধরবে। সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে মা ইয়াসমিন বেগমের কাছে গত রবিবার নতুন জুতা কেনার টাকা চেয়েছিল বুলবুল। নিম্নবিত্ত মা সেই শখ পূরণ করতে পারেননি। বারবার আফসোস করে একই প্রলাপ বকছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে নিহত বুলবুলের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে। সন্ধ্যার পর বুলবুলের মরদেহ নরসিংদীতে পৌঁছায়। রাতেই স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
মেধাবী শিক্ষার্থী বুলবুল ২০১৬ সালে নরসিংদী সদরের কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৮ সালে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। একই বছর ডিসেম্বরে ভর্তি হন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে।