স্টাফ রিপোর্টার :
পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহায় নিরাপত্তা বিষয়ে নগরবাসীকে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
গতকাল শুক্রবার এসএমপি কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঈদে নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও অনাবিল আনন্দে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে এসএসপি। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সিলেট মহানগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো হলো- ঈদের জামায়াতে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন বহনে সর্তক থাকা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবশ্যই মাস্ক পরিধান, মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। নিজ নিজ বাসস্থান থেকে ওযু করে মসজিদে যেতে হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করা। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন এবং বহনে সর্বদা সতর্ক থাকা। প্রয়োজনে অর্থ স্থানান্তরে পুলিশের সহায়তা নেওয়া।
মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান (যেমন বিকাশ, ইউক্যাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) ব্যবহারে প্রতারকচক্র হতে সজাগ থাকা। মাস্ক, পিপিই পরে চুরি, ডাকাতি রোধে পুলিশ পরিচয়ে বা অপরিচিত কাউকে বাসায় প্রবেশ করতে না দেওয়া।
কোরবানির পশু সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে এবং ইউনিয়ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে জবাই করা। পশু জবাইয়ের বর্জ্য নিদিষ্ট জায়গায় রাখা। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পশু জবাইয়ের অস্থায়ী স্থান সম্পর্কে জানা। প্রতিটি পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে ব্যাংক কর্তৃক স্থাপিত বুথে জাল টাকা শনাক্ত করণ মেশিন দ্বারা টাকা পরীক্ষা করা। ট্রাফিক আইন মেনে চলা। যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ি মসজিদ হতে দূরে পার্কিং করা।
ঈদ উপলক্ষে বাসা/বাড়িতে গৃহকর্মী নিযুক্ত করলে তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাসা ছেড়ে যাওয়ার আগে ফ্রিজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বালতি, গামলা, বদনা ইত্যাদি পানি শূন্য করে উপুড় করে রাখুন ও ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে সহযোগিতা করতেও বলা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে গেলে বা বাসা ত্যাগ করলে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করা। বাসা/অফিসে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করা। দরজায় নিরাপত্তা এলার্মযুক্ত তালা ব্যবহারের পাশাপাশি মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুস্কৃতিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করা।
ঈদের আগে/পরে সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। শেষ মুহূর্তে ট্রেন ও বাসের মারাত্মক ভিড় এড়িয়ে চলুন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেন ও বাসে চলাচল করবেন না। যাত্রী সাধারণকে ট্রেন ও বাসের ছাদে এবং ট্রাকে করে ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
পুরুষ ও নারী পকেটমার এবং প্রতারক চক্র হতে সর্তক থাকা। বাসটার্মিনাল, রাস্তায় ও হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো অপরিচিত ব্যক্তি, অজ্ঞান পার্টির কাছ থেকে কোনো খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ না করা।
রাতে জনবহুল রাস্তা দিয়ে চলাচল, সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী বা টাকা পয়সা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা এবং শেষ রাতে বাসস্ট্যান্ডে নামলে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করা, প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ট্যাক্সি বা অটোরিক্সা বা ভাড়ায় চালিত অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করার সময় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং ড্রাইভারের নাম, ঠিকানা লিখে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিএমপি। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ড্রাইভারের নাম, ঠিকানা নিকটজনের নম্বরে এসএমএস করুন। সিএনজিতে পূর্ব থেকে অপরিচিত যাত্রী বসা থাকলে তা এড়িয়ে চলুন। সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী থেকে সতর্ক থাকুন।
আরও বলা হয়েছে- দোকান মালিকরা মার্কেট/শপিং মলে কোনো নগদ অর্থ রাখবেন না, মার্কেট/শপিং মল ত্যাগের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে, আপনার প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে তালাবদ্ধ করা হয়েছে, মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট/শপিংমলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন।