কাজিরবাজার ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শরীয়তপুরের দুই যুবক নিহতের খরব পাওয়া গেছে। গত রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কাপাশপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে মো. আলম মোল্লা (৩৪) ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাইছকুড়ি গ্রামের শহর আলী মাঝির ছেলে মো. উজ্জল মাঝি (৩২)। আলম মোল্লার হানিফা (৩) নামে এক ছেলে ও আফসা (৬) নামে এক মেয়ে রয়েছে।
আলম মোল্লার চাচাতো চাচা ফোরহাদ হোসেন বলেন, আলম দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের সুপার মার্কেটের একটি দোকানে চাকরি করতেন। ওই দোকানটিতে পাঁচজন কমর্চারী ছিল। রোববার রাতে কিছু সন্ত্রাসী দোকানে ডুকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
তিনি বলেন, আলমরা তিন বোন, এক ভাই। ওর মা অনেক আগেই মারা গেছেন। আর বৃদ্ধ বাবা বিছানায় পরে আছেন। তাদের কিছু ফসলি জমি ছিল । সেই জমি বিক্রি করে ও ঋণ করে পরিবার আলমকে দেড় বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠায়।
আলম মোল্লার স্ত্রী রুমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে কাকে বাবা বলে ডাকবে? আমার সংসার কীভাবে চলবে?
এদিকে উজ্জল মাঝির বড় ভাই মারুফ মাঝি বলেন, উজ্জল প্রায় ১১ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে দোকান চালান। কয়েক দিন ধরে সেখানকার চাঁদাবাজরা তাদের কাছে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেয়ায় উজ্জলকে দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে। একই সময় আলমকেও গুলি করে। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, সেখানকার বাংলাদেশীরা জানিয়েছে তাদের মরদেহ কেপটাউন শহরের একটি হাসপাতালের হিমাগারে আছে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শরীয়তপুরের দুই ব্যক্তির নিহতর সংবাদ লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।