স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের (পুরাতন জেল) সীমানা প্রাচীর (দেয়াল) তুলে বেহুদা টাকা খরচ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, একদম ফালতুভাবে সরকারের টাকাটা খরচ করা হবে, যাতে ওয়াল দিলে কিছু টাকা কামাই করা যাবে, এর জন্য ‘ডিআইজি প্রিজন’ পেছনে লেগে আছে। এটা কোনো কাজে আসবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর ধোপাদীঘিরপার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ডিআইজি প্রিজন দাবি করেছেন, পুরাত কারাগারের দেয়ালের পেছনে আরেকটি দেয়াল তুলতেই হবে। এর জন্য টাকাও যোগাড় করেছেন। উনি (ডিআইজি প্রিজন) বোধহয় এমন একটা ভাব দেখিয়েছেন, আরেকটি দেয়াল না হলে উনার কয়েদিরা চলে যাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা দেয়াল করার অনুমোদন দিয়েছেন, তারা হয়তো খেয়াল করেননি। বর্তমান জেলা প্রশাসক উপস্থিত আছেন, আগের জেলা প্রশাসকও জায়গাটি খালি রাখতে বলেছিলেন। এজন্য খালি রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুটোই সরকারের জায়গা। মেয়র ও জেলা প্রশাসক বলেছেন, তারপরও সে (ডিআইজি প্রিজন) কি আক্কেলে টাকা সংগ্রহ করেছে? তাও অনেক টাকা, ৭০ লাখ! একেবারে পানিতে ঢালবে, চুরি করবে, চুরি করার জন্য টাকাটা এনেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। তিনি একজন ভালো মানুষ। বোঝেনও ভালো।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়রকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতে জায়গাটির ছবি নিয়ে গেলে তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) এই প্রকল্প বাতিল করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। ড. মোমেন বলেন, জানতে পারলাম, স্ট্রিট লাইটগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। উনার অপছন্দ হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। এরকম জোর খাটানো উচিত হয়নি। এটাতো মগের মুল্লুক না। এখানে আইন আছে, দুটোই সরকারের জায়গা। সুতরাং এই ধরণের আচরণ ঠিক না। এটা জনগণের জন্য উন্মোক্ত করে দেওয়া হোক।
গত ৫ জুলাই ওয়াকওয়েতে ল্যাম্পপোস্ট বসানো নিয়ে কারাকর্তৃপক্ষ ও সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে যায়।
সিসিকের অভিযোগ, কারা সদস্যরা পুরাতন কারাগার সংলগ্ন ধোপাদীঘি ওয়াওয়ের ল্যাম্পপোস্টটি ভেঙে দেয়, খুঁটি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, জায়গাটি তাদের নিজেদের। ওখানে দেয়াল নির্মাণ করা হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হলে শুক্রবার সিলেটে এসে ওয়াকওয় পরিদর্শন করেন তিনি।