কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অরেশ নমশুদ্র হত্যা মামলার গ্রধান আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত (২৬ জুন) রাত ১২টার দিকে উপজেলার গোয়াইন গ্রামের ছয়ফুল আলমের ছেলে সুহেল মিয়া ও চেরাগ আলীর ছেলে শাহনুর মিয়াকে গ্রেফতার করে গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ।
এর আগে শনিবার ভোররাতে সীমান্তবর্তী হোয়াপাড়া এলাকা হতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পিরিজপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বিলাল উদ্দিন (৩০)-কে গ্রেফতার করা হয়।
খুন হওয়া অরেশ নমশুদ্র (৬৬) গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইন গ্রামের নয়ান নমশুদ্রের ছেলে। শুক্রবার (২৪ জুন) রাত ৮টার দিকে গোয়াইন গ্রামের মো. জমির উদ্দিনের দোকানের সামনের রাস্তায় অরেশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে এবং শনিবার তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া শাখা জানায়, গোয়াইনঘাটে চাঞ্চল্যকর অরেশ নমশুদ্র হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত মূল আসামিদের গ্রেফতারে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। তথ্য গ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার ভোররাত ৪টায় সীমান্তবর্তী হোয়াপাড়া এলাকা হতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অপর দুই আসামি সুহেল মিয়া ও শাহনুর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অরেশ নমশুদ্র তার বাড়ি হতে বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে স্থানীয় জমিরের দোকানের সামনে সুহেল, শাহনুর, মিলাদ ও বিলালদের আড্ডা দিতে দেখেন। এ সময় বিলাল অরেশ নমশুদ্রকে ডাক দিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে সুহেল তার মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সকলে মিলে অরেশকে তাদের সাথে থাকা মেগলাইট ও লাঠি দ্বারা উপুর্যপুরি আঘাত করলে তার মাথার ডান পাশ, দুই চোখ, নাক, থুতনিতে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলার মিডিয়া মুখপাত্র জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সিলেট জেলাপুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।