সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেছেন, মাদকের ভয়াবহতার হাত থেকে ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। তিনি বলেন মাদকের সূত্রপাত ঘটে ধূমপান থেকে। ধূমপান থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে পারলেই মাদকের ভয়াবহতা থেকে দূরে রাখা যাবে। মোবাইল ফোনের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক ছেলে মেয়েরা ক্রাইমের সাথে জড়িয়ে যায় তার সাথে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বাবা- মা ও শিক্ষদের ভূমিকা রয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে যাতে তারা কোন ভাবেই বিপথগামী না হয়। ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদেরও অনেক গুরুত্ব পুণ্য দায়িত্ব রয়েছে। তারা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে নানা ভাবে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে পারেন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলা ও সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। তাদেরকে ভালো কাজের দিলে ধাবিত করতে পারলে সমাজ থেকে মাদকের ভয়াবহতা কমে যাবে। সরকার চায় মাদকের ব্যাপারে দেশকে জিরো ট্রলারেন্সে নিয়ে আসতে। সুতারাং এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাত থাকতে হবে।
সোমবার (৬ জুন) সকালে সিলেট উপজেলা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক এর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়নে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষকে নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম রব্বানী মজুমদারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিলেট জেলার উপ-পরিচালক মালয় ভূষন চক্রবর্তী।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল তালুকদার, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মামুন হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি