জাতীয় চা দিবস আজ

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস পালিত হবে আজ শনিবার। এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় চা দিবসের সমস্ত আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালী হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সে কারণেই ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ড জানিয়েছে, আজ শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্যাপিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে চা দিবসের আলোচনা সভা শুরু হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় চা দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হবে দিনব্যাপী চা মেলা। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। সব শ্রেঈর দর্শনার্থীদের জন্য চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের অধীনে মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ উপকরণ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
চা বোর্ড জানিয়েছে, জাতীয় চা দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে আরও একটি চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
দেশে এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা উৎপাদিত হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়। দেশে এখন বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি। গত ১৮৪০ সালে দেশে এক ব্যক্তির উদ্যোগে চা উৎপাদন শুরু হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে। চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। ঢাকার পাশাপাশি দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চলের জেলাগুলোতে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।