সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মজিবর রহমান বলেন, উচ্চ আদালতের মামলার জট কমাতে হলে গ্রাম আদালতকে আরও কার্যকর করতে হবে। গ্রাম আদালত সম্পর্কে গ্রামের মানুষ এখনো সচেতন না হওয়ায় মামলার জট বাড়ছে। দেশের উচ্চ আদালতের মামলার জট কমাতে সরকারি নানা উদ্যোগের পরেও বিচার পেতে মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এসব ভোগান্তির অবসানে গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে জানাতে হবে। গ্রাম আদালত কার্যকরী করতে সকলের সমান অংশ গ্রহণের প্রয়োজন। তিনি এ আইনি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক ৩১ মে মঙ্গলবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরিচালনার দিক-নির্দেশনা বিষয়ে জেলা পর্যায়ে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প এর আওতায় জেলা প্রশাসন সিলেটের উদ্যোগে প্রকল্পভূক্ত ৬ টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, সচিববৃন্দের অংশ গ্রহণে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার শাখা সিলেটের সহকারী কমিশনার মোঃ মেজবাহ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সভার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিম।
সমন্বয় সভায় কার্যকর গ্রাম আদালত পরিচালনায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং তা উত্তরণের বিষয়সমূহ সহ গ্রাম আদালত আইন এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনা করা হয়।
উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার মহোদয় অপ্রাতিষ্ঠানিক সালিশ পদ্ধতি হ্রাস করে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ এর যথাযথ প্রয়োগ করে স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে প্রান্তিক জনগণের আইনি সেবা নিশ্চিত করার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি