নব গঠিত সিলেট জেলা মৎস্যজীবী লীগের কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ত্যাগী ও বঞ্চিত মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে মৎজীবীদের পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরাবরে ২৬ মে একটি অভিযোগ প্রদান করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ। তাছাড়া অনুলিপি প্রদান করেছেন দপ্তর সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে।
তাদের দাবি প্রকৃত মৎজীবীদের বঞ্চিত করে জামায়াত-শিবির ঘেঁষা বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের কমিটি ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সিলেটের মৎস্যজীবীরা। তারা আলোচিত-সমালোচিত জামাত ঘেঁষা এম এন নবী ও মৃদুল কান্তি দাসকে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে অমৎস্যজীবীদের নিয়ে কোন কমিটি গঠন না করে প্রকৃত এবং তৃণমূল পর্যায়ের মৎস্যজীবী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তারা এ ব্যাপারে বার বার অভিযোগও করে আসছিলেন। কিন্তু প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অবহেলা করে জেলা কমিটি গঠন করায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সিলেটের সর্বস্তরের মৎস্যজীবীরা।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। দীর্ঘ দিন যাবত মৎস্যজীবী এর সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছি। আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের নব্য অনুপ্রবেশকারী মো. নুরুন নবীকে সভাপতি করা হয়েছে। তার ব্যপারে অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসবে পূর্বে জামাত-শিবিরের সাথে তার সক্রিয় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। নুরুন নবীর একজন নিকটাত্মীয় জামাতের সূরা সদস্য বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তাছাড়া এর আগে নুরুন নবী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ অথবা অঙ্গ সংগঠনের সাথে তার কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছিল না।
মৃদুল কান্তি মাসকে সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সিলেট জেলার স্থায়ী নাগরিক নন। তাহার বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায়। পূর্বে আওয়ামী রাজনীতিতে সিলেটে মৃদুলের কোনো অংশগ্রহণ ছিলো না। জামায়াত বিএনপির লোকদের সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। যার ফলশ্রুতিতে বিয়ানীবাজার উপজেলার মৎস্যজীবী লীগের আহ্বাহক করেছেন সাবেক জামাত বিকল্প ধারার নেতা তাজ উদ্দিনকে এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনে জাতির পিতার আদর্শ বিরোধী লোকদের সম্পৃক্ত করেন। তাদের গ্রুপিং চাঁদাবাজি ও বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে ২০২২ সালের একুশে মহানগর মৎস্যজীবী লীগের প্রভাত ফেরীতে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে মৃদুল ও নুরুন নবীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় ফুলের তোড়া সন্ত্রাসী ভেঙ্গে ফেলে এবং বঙ্গবন্ধু প্লেকার্ড ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেন। কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগকে বিষয়টি অবগত করলেও সেখান থেকে সাংগঠনিক কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই বিতর্কিদের হাতেই কমিটি তুলে দেওয়া হয়। মুজিবাদর্শ বিরোধী কর্মকান্ডের কারনে সিলেট জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের অধিকাংশ সদস্য ও নেতৃবৃন্দ তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্তা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী লীগের সকল কর্মসূচি সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা যথাযথ মর্যাদায় সক্রিয় ভাবে আমরা পালন করছি। উপরোক্ত বিষয়ে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি-সাধারন সহ যোগ্য নেতৃত্ব প্রদান করে জাতির পিতার আদর্শের কর্মীদের সুসংগঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী ও সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর সদয় সহযোগিতা কামনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি