বন্যায় আশ্রয়ণের সুযোগে বাসার গ্রিল কেটে উপশহরে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি

14

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর অনেকে বাসাবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। আর সেই সুযোগে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চোরের উপদ্রব। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাতে শাহজালাল উপশহরের এ ব্লকের ২নং রোডের২নং বাসায় জানালার গ্রিল কেটে ফাঁকা পড়ে থাকা বিভিন্ন ইউনিট থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে চোর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুরি হওয়া বাসা পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
ওই বাসার মালিক ফেরদৌস আহমেদ আরবী জানান, এক সপ্তাহ আগে বাসায় পানি ঢুকে গেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরীর মজুমদারী এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান তিনি। এই সুযোগে বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় বাসার জানালার গ্রিল কেটে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে ঢুকে ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায় চোররা। সকালে প্রতিবেশিরা জানালার গ্রিল কাটা দেখে খবর দিলে বাসায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করি। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা ও উপশহর ফাঁড়ির পুলিশ এসে বাসাটি পরিদর্শন করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়ে গৃহকর্তা ফেরদৌস আরবী বলেন, ২ নম্বর রোডে তার বাসার অবস্থান এবং ৫ নম্বর রোডে পুলিশ ফাঁড়ি। তবুও চোরেরা কিভাবে নির্বিঘ্নে চুরি সংঘটিত করতে পারলো। একই রোডের বাসিন্দা উপশহর যুব কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজাম উদ্দিন ইমন বলেন, আশেপাশে সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা থাকলেও এগুলো দীর্ঘদিন থেকে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। ফলে অপরাধীরা বিনা বাঁধায় তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যদি সিসি ক্যামেরাগুলো সচল থাকতো তাহলে অপরাধীরাদের মধ্যেও ভয় কাজ করতো। এজন্য দ্রুত বিকল ক্যামেরাগুলো মেরামত করা আহবান জানান তিনি।
শাহপরান (র:) থানার ওসি তদন্ত ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বাসার আশপাশসহ পাশ্ববর্তী রোডের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, পাশাপাশি চোরদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবো।