সুরমা-কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিন নদীর পানি।
রবিবার (১৫ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সুরমার পানি সিলেটের কানাইঘাটে বিপদসীমার ১২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা পানি অমলশীদে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মার পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বুধবার (১৮ মে) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও তিস্তা নদীর পানির সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সোমবার (১৬ মে) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৭ মে) পর্যন্ত ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং প্রধান নদীসমূহের (সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই, মনু, খোয়াই) পানির সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবারের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীসমূহের পানির সমতল কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৮৮টি পয়েন্টে, কমেছে ১৫টি পয়েন্টের পানি। চারটি পয়েন্টের তথ্য পাওয়া যায়নি, একটি পয়েন্ট বন্ধ আছে ও আরেকটি পয়েন্টে পানি নতুন করে বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে।