প্রেমিকার বাড়ির পাশ থেকে প্রেমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যার

14

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে জুনায়েদ মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে মাধবপুর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
সে বহরা ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল মিয়ার পুত্র। পরিবারের দাবি পরিকল্পিত ভাবে জুনায়েদকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে মনতলা তদন্ত কেন্দ্রে’র এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল মিয়ার পুত্র জুনায়েদ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঘোনাপাড়া গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় ১০ টার দিকে জুনায়েদ ওই মেয়েকে ঘোনাপাড়া গাছ বাগানে আসতে বলে। পরে ওই মেয়ে বাগানে এসে জুনায়েদ একটি গাছে ঝুঁলে আছে দেখতে পায়। পরে জুনায়েতের ছোট ভাই মোশাহিদ মিয়ার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জুনায়েদ গাছে ঝুঁলে থাকার সংবাদ জানায়। সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে মনতলা তদন্ত কেন্দ্রে’র এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
জুনায়েদের পিতা আব্দুল আউয়াল জানান, আমি বাজার থেকে বাড়ীতে এসে ছেলেকে ঘরে দেখতে না পেয়ে মোবাইল ফোনে কল করি কিন্তু তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। এ ভাবে আমি ও আমার পরিবারের সবাই তার মোবাইলে রিং দিতে থাকেন। রাত প্রায় সোয়া ১০টার দিকে এক মেয়ে আমার ছোট ছেলে মোশাহিদের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে তোমার ভাই গাছে ঝুলে আছে তাড়াতাড়ি আসো। আমরা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কি ভাবে সে মারা গেছে তার রহস্য উদ্ধারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।