সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অপহরণকৃত ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া ১৩ বছরের মাদ্রাসাছাত্রী শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার তারাগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র হাবিব উল্লাহ (২১)কে আটক করেছে।
মামলা ও ভিকটিমের পরিবার সূত্র জানায়, ঈদের দিন গত ৩ মে মঙ্গলবার মাদ্রাসাছাত্রীটি মেজ ভাইয়ের বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যাওয়ায় পথে রাত ৮টায় রাস্তা থেকে অপহৃত হয়। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মাদ্রাসাছাত্রীটিকে ৩/৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ যুবকেরা মেয়েটিকে ঘিরে নিয়ে যাওয়ায়কালে পরিচিত একজন সন্দেহের বসে মেয়েটির ভাইকে ফোন দেয় এবং পরে তার ভাই বোনের খোঁজ নেয়ার জন্য বাবার কাছে ফোন দেয়। পরে তারা পাড়া-প্রতিবেশী স্বজনদের বাড়ি খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না মেলায়, গত তাহিরপুর থানায় একটি জিডি করেন যার জিডি নং ১৭২ তাং ৪।৫।২২ লিপিবদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার বোনকে আসামী হবিব উল্লাহ (২৩) পিতা মৃত আব্দুল হেকিম সাং দীঘিরপার ৫ নং বাদাঘাট ইউপি থানা তাহিরপুর ৩/৪ জন সহ অপহরণ করেছে। যার প্রেক্ষিতে তাহিরপুর থানার মামলা নং ৬ তাং ৯।৫।২২ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৭/৩০ ধারা রুজু করা হয়েছে।
মেয়ের মেজ ভাই আরো জানায়, তার বোন ঈদের সাজে তার মায়ের সহ ৬ বড়ি সোনা ধারণ করে এসেছিলেন এছাড়াও সাথে ২৬ হাজার নগদ টাকা ছিলো। তারি লোভে পরে এবং ব্যাপক অর্থ মুক্তিপণের আশায় আমার ছোট বোনকে পরিকল্পিত ভাবে রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার পূর্বক শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত ৮ মে রবিবার গভীর রাতে অপহরণকারীর খালাতো বোনের বাড়ি থেকে মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী হাবিব উল্লাহ (২১) পালিয়ে যায় এবং পরে সোর্সের মদদে তাকে নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ সোহেল রানা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা জন্য ভিকটিমকে মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।